সারাবিশ্ব | তারিখঃ ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 7545 বার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরীক্ষার খাতায় বিভিন্ন প্রশ্নের অদ্ভুত সব উত্তর প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তবে ভারতে এবার এক প্রশ্নের যে উত্তর পাওয়া গেল, তাকে অদ্ভুত বললে কম বলা হবে। রীতিমতো অন্য এক জগতের, অন্য এক উদ্ভট চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই উত্তরে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ভারত–পাকিস্তান সীমান্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজস্থানের ধোলপুর জেলার একটি স্কুলে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন ছিল এমন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোন সীমান্ত রয়েছে, এর দৈর্ঘ্য কত?’
এই প্রশ্নের উত্তরে এক শিক্ষার্থী লিখেছে, ‘দুই দেশের মধ্যে সীমা হায়দার রয়েছে। তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। এই সীমা হায়দারের কারণেই দুই দেশ লড়াই করছে।’ এই উত্তরের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটারের নতুন নাম) এক ব্যক্তি টুইট করে লেখেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র’।
আরেকজন লেখেন, ‘এ ধরনের উদ্ভাবনী উত্তরের জন্য এই ছেলেকে বেশি নম্বর দেওয়া দরকার’। আরেকজনের মত, ‘দুই দেশের মধ্যকার দূরত্ব কমাতে চাইছে সে। এ কারণে তাকে বরখাস্ত করা হবে না বলে আশা করছি।’ধারণা করা হচ্ছে পাকিস্তানের নাগরিক সীমা হায়দারকে নিয়েই এই প্রশ্নের উত্তর লিখেছে ওই ছাত্র। চলতি বছর অবৈধভাবে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসে সীমা হায়দার। প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেই ভারতে আসেন তিনি।
এ কারণে নেপালের ভেতর দিয়ে চার সন্তান নিয়ে ভারতে আসেন শচীন মীনার সঙ্গে থাকতে। এর আগে ২০১৯ সালে অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময় শচীন মীনার সঙ্গে আলাপ হয় সীমার। পরে দুজন প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। গত ৪ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয় সীমাকে। পরে জামিন পান তিনি। এখন ভারতেই শচীন মীনার সঙ্গে সংসার করছেন তিনি।
সংগৃহীত