০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনীহার কারণে বৈকালিক সেবা বন্ধ

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিনিধি : যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসকদের কারণে সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ সরকারি হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিতেন গত দুই বছর আগে থেক বৈকালিক সেবা চালু করা হয়েছিলো।

অভিযোগ উঠেছে, ব্যক্তিগত চেম্বারে বাণিজ্যের ধান্দায় কতিপয় চিকিৎসক স্বৈরাচার সরকারের সিদ্ধান্ত না মানার অজুহাত দেখিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে বিপদে পড়েছেন হতো দরিদ্রো সাধারণ রোগীরা।

জানা গেছে,গত ২০২৩ সালের ১৩ জুন যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনকরা হয়। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় রোগ নির্ণয়ের সুবিধা যুক্ত করা হয়। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ৪২ চিকিৎসক সরকার নির্ধারিত মূল্যে চিকিৎসা ও রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হাসপাতালের প্যাথলজিও বিভাগ স্বল্পমূল্যে সেবা দিয়ে আসছিলেন।

এরই মধ্যে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ছিলেন ছয়জন, নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ একজন, নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞ একজন, কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ তিনজন, রিওমাটোলজি বিশেষজ্ঞ একজন, সাইকিয়াট্রি বিশেষজ্ঞ একজন, অর্থোপেডিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ তিনজন, সার্জারি বিশেষজ্ঞ চারজন, নাক, কান গলা বিশেষজ্ঞ তিনজন, সাতজন গাইনি বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ ছয়জন এবং চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ ছয়জন চিকিৎসক ছিলেন। অল্প টাকায় পরামর্শ দিয়ে সাধারণ মানুষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু কার্যক্রমটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে হতো দরিদ্রো সাধারণ মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে।

সূত্র জানায়, গত কয়েক মাস ধরে হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা দায়িত্বরত চিকিৎসক গন ঠিকমতো হাসপাতালের চেম্বারে আসছিলেন না। দায় এড়াতে তাদের সহকারীদের চেম্বারে সামনে বসিয়ে রাখতেন। রোগী আসলে বসিয়ে রেখে সহকারীরা চিকিৎসকদের মোবাইলে ফোন দিতেন। এরপর চিকিৎসক ইচ্ছে হলে সেবা দিতে আসতেন। নাহলে রোগীদের ফিসের টাকা ১০ ফেরত দিতে বলা হতো। কিন্তু চলতি মাস থেকে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করতে আসছেন না। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনেগিয় দেখা গেছে, চিকিৎসকদের দরজায় তালা ঝুলছে। কর্মচারীরাও সেখানে কেও নেই।

হতো দরিদ্রো সাধারণ রোগীদের অভিযোগ উঠেছে, বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু থাকলে ডাক্তাররা বিকেল ৩ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিজ চেম্বারে রোগী দেখতে পারেন না। সেই কারণে তাদের উপরি আয় কমে যাই।নিজ ব্যক্তিগত চেম্বারে বাণিজ্য বাড়াতে তারা সিন্ডিকেট করে স্বৈরাচার সরকারের সিদ্ধান্ত মানবেন না বলে অজুহাত দেখিয়ে এই বৈকালিক চিকিৎসাসেবা হাসপাতালের চেম্বারে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, বৈকালিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে গরিব মানুষ স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছিলেন। যে কারণে তিনি যোগদানের পর থেকে সেবা কার্যক্রমটি চালু রাখার জন্য চিকিৎসকদের সাথে একাধিকবার কথা বলেছেন। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে রাজি হয়নি। ডাক্তারদের অনাগ্রহের কারণে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারিভাবে কোন নির্দেশনা না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে জোর করতে পারছি না।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৯:৫৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
৩৯

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনীহার কারণে বৈকালিক সেবা বন্ধ

আপডেট: ০৯:৫৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি : যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসকদের কারণে সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ সরকারি হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিতেন গত দুই বছর আগে থেক বৈকালিক সেবা চালু করা হয়েছিলো।

অভিযোগ উঠেছে, ব্যক্তিগত চেম্বারে বাণিজ্যের ধান্দায় কতিপয় চিকিৎসক স্বৈরাচার সরকারের সিদ্ধান্ত না মানার অজুহাত দেখিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে বিপদে পড়েছেন হতো দরিদ্রো সাধারণ রোগীরা।

জানা গেছে,গত ২০২৩ সালের ১৩ জুন যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনকরা হয়। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় রোগ নির্ণয়ের সুবিধা যুক্ত করা হয়। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ৪২ চিকিৎসক সরকার নির্ধারিত মূল্যে চিকিৎসা ও রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হাসপাতালের প্যাথলজিও বিভাগ স্বল্পমূল্যে সেবা দিয়ে আসছিলেন।

এরই মধ্যে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ছিলেন ছয়জন, নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ একজন, নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞ একজন, কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ তিনজন, রিওমাটোলজি বিশেষজ্ঞ একজন, সাইকিয়াট্রি বিশেষজ্ঞ একজন, অর্থোপেডিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ তিনজন, সার্জারি বিশেষজ্ঞ চারজন, নাক, কান গলা বিশেষজ্ঞ তিনজন, সাতজন গাইনি বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ ছয়জন এবং চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ ছয়জন চিকিৎসক ছিলেন। অল্প টাকায় পরামর্শ দিয়ে সাধারণ মানুষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু কার্যক্রমটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে হতো দরিদ্রো সাধারণ মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে।

সূত্র জানায়, গত কয়েক মাস ধরে হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা দায়িত্বরত চিকিৎসক গন ঠিকমতো হাসপাতালের চেম্বারে আসছিলেন না। দায় এড়াতে তাদের সহকারীদের চেম্বারে সামনে বসিয়ে রাখতেন। রোগী আসলে বসিয়ে রেখে সহকারীরা চিকিৎসকদের মোবাইলে ফোন দিতেন। এরপর চিকিৎসক ইচ্ছে হলে সেবা দিতে আসতেন। নাহলে রোগীদের ফিসের টাকা ১০ ফেরত দিতে বলা হতো। কিন্তু চলতি মাস থেকে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করতে আসছেন না। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনেগিয় দেখা গেছে, চিকিৎসকদের দরজায় তালা ঝুলছে। কর্মচারীরাও সেখানে কেও নেই।

হতো দরিদ্রো সাধারণ রোগীদের অভিযোগ উঠেছে, বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু থাকলে ডাক্তাররা বিকেল ৩ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিজ চেম্বারে রোগী দেখতে পারেন না। সেই কারণে তাদের উপরি আয় কমে যাই।নিজ ব্যক্তিগত চেম্বারে বাণিজ্য বাড়াতে তারা সিন্ডিকেট করে স্বৈরাচার সরকারের সিদ্ধান্ত মানবেন না বলে অজুহাত দেখিয়ে এই বৈকালিক চিকিৎসাসেবা হাসপাতালের চেম্বারে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, বৈকালিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে গরিব মানুষ স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছিলেন। যে কারণে তিনি যোগদানের পর থেকে সেবা কার্যক্রমটি চালু রাখার জন্য চিকিৎসকদের সাথে একাধিকবার কথা বলেছেন। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে রাজি হয়নি। ডাক্তারদের অনাগ্রহের কারণে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারিভাবে কোন নির্দেশনা না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে জোর করতে পারছি না।