ডেস্ক রিপোর্ট : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেসের দুটি বগি উল্টে যায়। এতে নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফাইটার মোশাররফ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে জানা গেছে। এছাড়া উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে র‌্যাব ও বিজিবি।

বিকালে উপজেলার জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি যাত্রীসহ উল্টে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনের নিচে এখনো মানুষ চাপা পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোতে অনেকেই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের উদ্ধারকাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে ভৈরব থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ১০টি ইউনিট উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। এ ছাড়া ঢাকা থেকে একটি বিশেষ ইউনিট ঘটনাস্থলে আসছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফাইটার রাসেল বলেন, আমরা বিকেল ৪টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পাই। হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে কাজ করছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দুর্ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এদিকে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে হাজারও উৎসুক জনতা ভিড় করেছে। উপস্থিত হয়েছেন দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে থাকা যাত্রীদের স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, স্টেশন মাস্টারের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।