নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই-একটা দল অংশ না নিলে নির্বাচনের ক্ষতি হবে না এবং নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে ১৫ আগস্টের সব শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো দল বা কেউ যদি সে নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভাঙচুর, অগ্নি সন্ত্রাস, অস্ত্র ও খুনের মামলায় আগে থেকে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নতুন করে গ্রেপ্তারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।’

নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সংবিধানের সব নিয়ম মেনে যে নির্বাচন, সে নির্বাচনে কেউ যদি অংশ না নেয় সেটার জন্য সে নির্বাচন বন্ধ হবে না। বহু দল আছে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে। দুই-একটা দল অংশ না নিলে সে নির্বাচন কেন গ্রহণযোগ্য হবে না? নির্বাচনে অংশ নেয়া রাজনৈতিক অধিকার। কেউ যদি নিজের অধিকার প্রয়োগ না করে সেটা তাদের ব্যাপার।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৭৫ এ খন্দকার মোশতাক ও মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা- এ সমুদয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল সে ঘৃণ্য রাজনীতি থেকে তাদের উত্তরসূরিরা এখনো সরে দাঁড়ায়নি। সে ধারাবাহিকতা এখনো বহন করে চলছে জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের শুরু করা বিএনপির হত্যার রাজনীতি এখনো শেষ হয়নি। সেই হত্যার রাজনীতি বাংলার মাটি থেকে নির্মূল করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই অব্যাহত আছে।’ শেখ রাসেলের মতো শিশুদের জন্য দেশকে সম্পূর্ণ নিরাপদ করে না তোলা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। পৃথিবীর রাজনীতিতে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেনি যেখানে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ১৫ আগস্ট অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।’

এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বনানী কবরস্থ মসজিদে শেখ রাসেলসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এতে অংশ নেন দলীয় নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।