জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ অক্টোবর ৪, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2352 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : আর্থিক খাতে সংস্কারের তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মুদ্রা বিনিময় হার, মুদ্রানীতি, সুদের হারসহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংস্কারের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছে সংস্থাটি।
৪ অক্টোবর, বুধবার বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তাগিদের কথা জানান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেক ক্ষেত্রে সংস্কার হচ্ছে, কিন্তু আরও করতে হবে। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি যে পরিমাণ কমেছে এতে আমি সন্তুষ্ট নই। সেপ্টেম্বরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৬৩ শতাংশ হয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৯. ৯২ শতাংশ।
বৈঠক শেষে আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশ কিছু সংস্কার কাজ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ফাইনান্সিয়াল স্ট্যাবিলিট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এটা ভালো। সুদের হারের ক্যাপ ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এসব সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। তবে যদি নির্বাচনী পরিবেশ ভালো থাকে তাহলে আগামীতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। স্বল্পসুদে ঋণের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন তহবিলসহ বিভিন্ন স্কিম থেকে আরও ঋণ নেওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশ ভালো করেছে। গত কয়েক বছরে প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্য সীমার উপরে উঠেছেন। আরও ৫ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা বাজেট সহায়তা দিয়েছি। আগামীতে আরও দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা পূরণে বিনিয়োগ দরকার।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা ও বিশ্বব্যাংক উভয়ই মনে করি, আগামীর পরিবেশ অর্থাৎ নির্বাচনের পরিবেশ যদি ভালো থাকে তাহলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। মানুষ যদি উন্নয়নের পক্ষে থাকে তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে এই কমাতে আমি সন্তুষ্ট নই। মূল্যস্ফীতি কমাতে যা যা করা দরকার সরকার তা করছে। চলতি বছরের শেষদিকে মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশে নেমে এলে আমি খুশি হব।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে প্রয়োজনে নিচের ৫ শতাংশ লোকের (হতদরিদ্র) জন্য যেসব কর্মসূচি আছে সেগুলো বাড়াতে হবে।