০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতির আত্মপরিচয়ে পহেলা বৈশাখ এক উজ্জ্বল উপাদান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার পহেলা বৈশাখ-১৪৩২ উপলক্ষে রবিবার তার ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতিসত্তার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নববর্ষ উদযাপন। বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশিদের হৃদয়ে তার প্রকাশ অনন্য ভিন্নরূপ। আমি এই উৎসবমুখর দিনে দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।’

তিনি বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে নানা রূপ ও বৈচিত্র্য নিয়ে জাতির জীবনে বার বার ঘুরে আসে পহেলা বৈশাখ। নববর্ষের উৎসবের সাথে যেন ভরে ওঠা প্রকৃতি ও প্রাণের যোগ আবহমানকাল ধরে বিদ্যমান। আমাদের হৃদয়ে সঞ্চারিত হয় স্বজাতির অতীত গৌরব ও ঐশ্বর্য। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সুদূর অতীতকাল ধরে নির্মীয়মাণ বিশালত্ব এক শক্ত ভিত্তি লাভ করে। ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মনুষ্যত্বের বাণী একত্রিত হয়ে গঠন করে এক সুগ্রন্থিত জাতি।’

তিনি বলেন, ‘জাতির আত্মপরিচয়ে পহেলা বৈশাখ এক উজ্জ্বল উপাদান। প্রতি বছর নববর্ষ পেছনের আলোকের দীপ্তিতে উৎকর্ষ ও অগ্রগতির পথে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দেয়। এখন আমাদের প্রাণবন্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের উদার দৃষ্টিভঙ্গির যে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্রবণতা রয়েছে তার ভিত্তিতে বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চিরস্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।’

বিশ্বজুড়ে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতার প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান বলেন, ‘১৪৩১ সাল নানা ঘটনা ও দুর্ঘটনার সাক্ষী। আমরা ১৪৩২ সালের প্রভাতে দাঁড়িয়ে আছি। শান্তির জন্য শুধু অপেক্ষা করলে হবে না, সমাধান হতে হবে নিঃস্বার্থ। তাহলেই রক্তপাত থামবে, শান্তি ধরা দেবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলা সন-তারিখ আমাদের প্রাত্যহিক জীবন, দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অপরিহার্য অনুষঙ্গ, তাই এটি জাতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, বিদগ্ধজনের মানসিক আশ্রয় ও মননের পরিচর্যার উৎসস্থল। সুপ্রাচীনকাল ধরে গড়ে ওঠা ভাষা ও কৃষ্টির নিবিড় বন্ধন ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিদেশি আধিপত্যবাদী প্রভুরা সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমাদের এ সম্পর্কেও সচেতন ও সদা জাগ্রত থাকতে হবে।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘নববর্ষের প্রথম দিনে আমি সকলের কল্যাণ ও শান্তি কামনা করছি। বৈশাখের বহ্নিতাপে সমাজ থেকে মুছে যাক অসত্য, অন্যায়, অনাচার ও অশান্তি। চারিদিকে প্রবাহিত হোক শান্তির সুবাতাস, সুশীলা নদী, সমস্ত জগৎ হোক অমৃতময়।’

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৬:৪০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৫৩

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন তারেক রহমান

আপডেট: ০৬:৪০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতির আত্মপরিচয়ে পহেলা বৈশাখ এক উজ্জ্বল উপাদান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার পহেলা বৈশাখ-১৪৩২ উপলক্ষে রবিবার তার ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতিসত্তার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নববর্ষ উদযাপন। বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশিদের হৃদয়ে তার প্রকাশ অনন্য ভিন্নরূপ। আমি এই উৎসবমুখর দিনে দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।’

তিনি বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে নানা রূপ ও বৈচিত্র্য নিয়ে জাতির জীবনে বার বার ঘুরে আসে পহেলা বৈশাখ। নববর্ষের উৎসবের সাথে যেন ভরে ওঠা প্রকৃতি ও প্রাণের যোগ আবহমানকাল ধরে বিদ্যমান। আমাদের হৃদয়ে সঞ্চারিত হয় স্বজাতির অতীত গৌরব ও ঐশ্বর্য। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সুদূর অতীতকাল ধরে নির্মীয়মাণ বিশালত্ব এক শক্ত ভিত্তি লাভ করে। ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মনুষ্যত্বের বাণী একত্রিত হয়ে গঠন করে এক সুগ্রন্থিত জাতি।’

তিনি বলেন, ‘জাতির আত্মপরিচয়ে পহেলা বৈশাখ এক উজ্জ্বল উপাদান। প্রতি বছর নববর্ষ পেছনের আলোকের দীপ্তিতে উৎকর্ষ ও অগ্রগতির পথে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দেয়। এখন আমাদের প্রাণবন্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের উদার দৃষ্টিভঙ্গির যে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্রবণতা রয়েছে তার ভিত্তিতে বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চিরস্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।’

বিশ্বজুড়ে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতার প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান বলেন, ‘১৪৩১ সাল নানা ঘটনা ও দুর্ঘটনার সাক্ষী। আমরা ১৪৩২ সালের প্রভাতে দাঁড়িয়ে আছি। শান্তির জন্য শুধু অপেক্ষা করলে হবে না, সমাধান হতে হবে নিঃস্বার্থ। তাহলেই রক্তপাত থামবে, শান্তি ধরা দেবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলা সন-তারিখ আমাদের প্রাত্যহিক জীবন, দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অপরিহার্য অনুষঙ্গ, তাই এটি জাতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, বিদগ্ধজনের মানসিক আশ্রয় ও মননের পরিচর্যার উৎসস্থল। সুপ্রাচীনকাল ধরে গড়ে ওঠা ভাষা ও কৃষ্টির নিবিড় বন্ধন ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিদেশি আধিপত্যবাদী প্রভুরা সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমাদের এ সম্পর্কেও সচেতন ও সদা জাগ্রত থাকতে হবে।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘নববর্ষের প্রথম দিনে আমি সকলের কল্যাণ ও শান্তি কামনা করছি। বৈশাখের বহ্নিতাপে সমাজ থেকে মুছে যাক অসত্য, অন্যায়, অনাচার ও অশান্তি। চারিদিকে প্রবাহিত হোক শান্তির সুবাতাস, সুশীলা নদী, সমস্ত জগৎ হোক অমৃতময়।’