জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3587 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটের আগুনে ১৮টি স্বর্ণের দোকানসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেট ও কাঁচা বাজারে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৭০০-৮০০টি দোকান ছিল।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথমে হক বেকারি থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে বাতাসে মুহূর্তেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেট বন্ধ থাকায় ফায়ার সার্ভিস প্রথমে এসে ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এজন্য আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
সিঙ্গাপুর জুয়েলার্সের আবু কাওশার বলেন, ‘আমার দোকানে প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল ছিল। কিছু বের করা গেছে তবে বেশিরভাগই দোকানে ছিল। দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।’ স্বর্ণের দোকান ছাড়াও মার্কেটটিতে কাপড়, প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকান ছিল।
বুধবার রাত ৩টা ৪৩ মিনিটে মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর ৯ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে ১৭টি ইউনিট যোগ দেয়।
কৃষি মার্কেটে কাপড়ের দোকানি মাহবুব হাসান বলেন, তার দোকানে লাখ পাঁচেক টাকার মালামাল ছিল। প্রথমে হক বেকারিতে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে যায়। মার্কেটে ৫০০ এর বেশি দোকান পুড়েছে।
শফিকুল ইসলাম নামের জুতার দোকানি বলেন, প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরে ঢুকতে পারলে আগুনে এত দোকান পুড়তো না। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আমাদের। দোকান থেকে কিছুই বের করতে পারিনি।
জাকির হোসেনের ছিল সোনার দোকান। তিনি বলেন, মার্কেটের মাঝে দোকান হওয়ায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি। এজন্য দোকান থেকে টাকা-পয়সা কিংবা স্বর্ণালংকারও বের করা যায়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মার্কেটটির দোকান মালিক সমিতির কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। ফলে এ বিষয়ে তাদের কারো বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড ম্যানটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকায় এবং মানুষের ভিড়ের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে। এখানে পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেই।
তিনি বলেন, মার্কেটটি অনেকটা বঙ্গ মার্কেটের মতো। দোকানের সামনেও দোকান ছিল।
এর আগে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর একে একে তাদের ১৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপণ সাহায্যকারী দল। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।