আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯০০ জন। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বরে ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। দুঃসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশও। এখন পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় দুই জন বাংলাদেশী নাগরিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশী নাগরিকও থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের বের করে আনতে ওয়েল্ডিং গ্যাস কাটার ও ইলেকট্রিক কাটার ব্যবহার করা হচ্ছে। ভুবনেশ্বরের কর্মকর্তারা বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে রাতভর অভিযানে এক হাজার ২০০ মানুষ অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি ২০০টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০টি বাস এবং ৪৫টি মোবাইল হেলথ ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে।

ট্রাক্টরসহ সব ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে মৃতদেহগুলো হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলের কাজে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে রেলমন্ত্রীর সামনেই অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘মনে হয় রেলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আরও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।’

ভারতের রেলওয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে দেশটির গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনের বলা হয়, কলকাতাগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ওই এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে একটি মালবাহী ট্রেনের বগির ওপরও আছড়ে পড়ে।