ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের সদর শৈলকুপাসহ প্রায় প্রতিটি হাটেই ১ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা দরে।

ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, জীবনে এই প্রথম কাঁচামরিচের এত দাম দেখলেন। শনিবার হাটের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, পা্ইকারী বাজার শুরু হলে চাষিরা প্রতি কেজি বিক্রি করছিল ৭০০ টাকা। এরপর পাইকারি বাজারে দাম বাড়তে থাকে।

দেশের অন্যতম কাঁচা মরিচ উৎপাদনকারী এলাকার বাজার গুলোতে খোজ নিয়ে জানাগেছে, সকালে দাম ছিল প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। আর খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম চাচ্ছেন। শৈলকুপা বাজারের খুচরা বিক্রেতা আ: আজিজ জানান আমি নিজেই প্রতি কেজি এক হাজার টাকা দাম নিচ্ছি। তিনি আরও জানান, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে বলে এজন্য খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে গেছে।

কাঁচামাল ব্যবসায়ী বিশারত আলী জানান, তিনি প্রতিদিন ১ থেকে ২মণ কাঁচামরিচ বিক্রি করেন। আজ শনিবার তিনি ১০ কেজিও মরিচ কিনতে পারেননি যা, পেয়েছেন তা এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের চাষি বাবুল হোসেন জানান, এবার ১০ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। মরিচ কম ধরছে। ফুল পচে যাচ্ছে। শনিবার ২ কেজি মরিচ হাটে এনেছেন। ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।

কাঁচামরিচ কিনতে আসা বিল্লাল বলেন, প্রতিদিন যে টাকা আয় করি তার মধ্যে বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে গেলে অন্য বাজার করা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অপর জন বলেন,এক কেজি কাঁচামরিচে এখন এক কেজি খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ৬ উপজেলায় ১ হাজার ৭’শত ২৪ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার ফলে আধিকাংশ জমির মরিচের গাছ নষ্ট হওয়া চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম থাকায় দাম একটু বেশি।