দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুরে এক ক্ষেতে লাউয়ের পাশাপাশি করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। একই মাচায় লাউ ও করলা চাষ করে একদিকে যেমন খরচ কমেছে, অন্যদিকে যৌথচাষে লাভবানও হচ্ছেন কৃষকরা।

এদিকে সঠিক পরিচর্যায় করলার ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। খেতের আইলে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কৃষকের উৎপাদিত এই করলা।

দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে করলা চাষাবাদ হয়েছে। বর্ষায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সবজি উৎপাদন কম হয়। ফলে এই অঞ্চলের করলার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয় সারা দেশেজুড়ে। গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলাজুড়ে ২০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ বেড়েছে।

উপজেলার উজানখলসী গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গায় চৈত্র মাসে লাউ চাষ করি। সেখানে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে নাইলন সুতা ও জিআই তার এবং বাঁশের খুঁটির ওপর চাষ করতাম। লাউ চাষ শেষ হলে সেই মরা গাছের মাঝে মাঝে করলা গাছের বীজ বপন করেছিলাম। সেখান থেকে এখন করলা বিক্রি করছি। বর্ষা মৌসুমে করলার দাম ভালো হয়। প্রতিমণ করলা খেতের আইল থেকে বিক্রি হচ্ছে ১৭ শ থেকে ১৭ শ ৫০ টাকা দরে।’

হাটকানপাড়া এলাকার কৃষক মহির উদ্দিন বলেন, ‘করলা নিয়ে বাজারে যেতে হয় না। চড়া দামে খেতের আইলেই বিক্রি হয়ে যায়। অন্যান্য সবজির তুলনায় করলা চাষে খরচ কম হয়।’

পাইকারি ব্যবসায়ী দুলাল সরকার বলেন, ‘বর্ষাকালে সারা দেশে সবজির সংকট হয়। এ সময় রাজশাহী অঞ্চলে জমি উঁচু হওয়ায় করলা চাষ হয়। এসব করলা তিনি ঢাকা-সিলেটে সরবরাহ করেন। পাইকাররা খেতের আইল থেকেই করলা কিনে নিচ্ছেন। চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘করলা প্রায় সারাবছরই আবাদ করা যায়। বর্ষা মৌসুমে অনেকেই এখন বিভিন্ন জাতের করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এ বছর দাম ভালো পাওয়ায় ভবিষ্যতে আরো বেশি জমিতে করলার চাষ হবে।