জেলার খবর, পাবনা, রাজশাহী বিভাগ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4956 বার
ডেস্ক রিপোর্ট : বাসায় কেউ থাকেন না। এর পরেও ১ মাসে বিল এসেছে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর আওতাধীন চাটমোহর পৌর সদরের ফাঁকা একটি বাসায় এমন ভূতুরে ঘটনা ঘটেছে। এর বিল প্রস্তুতকারক আসমা ও এজিএম (অর্থ) এর স্বাক্ষর সম্বলিত এমন ভুয়া বিল নিয়ে ইতিমধ্যে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর– বিডি ২৪ লাইভ ডট কম।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বাড়ির মালিক অধীর কুমার সরকার অনেক আগেই মারা গেছেন। তার সন্তানরা থাকেন ভারতে। বাড়িতে কেউ থাকেন না। এক প্রতিবেশী বাড়ির দেখাশোনা করেন। এছাড়া গত ছয় মাস ধরে কোনো সদস্যই থাকেন না ওই বাড়িতে। এ রকম ভৌতিক বিল দেওয়া পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ-১ সমিতির অফিসের জন্য নতুন কোনো বিষয় না।
এমন ঘটনা ঘটলেও পবিস-১ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে। জোর করেই দোষ চাপানো হয় গ্রাহকের ঘাড়ে। এ অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, অদক্ষ অপারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ বিল তৈরির ফলে বিদ্যুৎ বিলের কপিতে গ্রাহকের নাম, বাবার নাম, মোবাইল নম্বর ভুলে ভরা। তারা মিটার রিডিং না করে অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেন। এ জি এম অর্থর এ বিল ক্রসচেক করার স্বাক্ষর থাকলেও তিনি কিছুই করেন না। এছাড়া মিটারে কম বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখিয়ে বছর শেষে হাতিয়ে নেওয়া হয় অতিরিক্ত টাকা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় তিন লাখ গ্রাহক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।
এমন ভাবে অনেক মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রতারিত করা হচ্ছে বলেও জানান স্থানীয়রা। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার গিয়ে অধীর কুমার সরকারের জিরো পয়েন্ট বাড়ির ৪৭৬৬ নং হিসাবের সেপ্টেম্বর-২২ মাসের বিদ্যুৎ বিল দায়িত্বরত লোকের কাছে দেন। এ সময় বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দেখে আঁতকে ওঠেন তিনি।
সঙ্গে সঙ্গে মিটার রিডারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দেখছি বলে বিলের কপিটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটি দেওয়া হয়নি। পরে রাতেই আবার নতুন করে প্রিন্ট দেওয়া হয় বিল। তার আগে এ জি এম অর্থকে দিয়ে জোর করে আগের বিল নিয়ে নতুন বিল চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মিটার রিডার। সংশোধনের পর বিল এসেছে ৮৬৬ টাকা।
এ বিষয়ে বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন ভুল স্বীকার করে বলেন, মানুষই ভুল করে। কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে। এ বিষয়ে নিউজ না প্রকাশের জন্যও অনুরোধ করেন তিনি। এ বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আকমল হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর বিল প্রস্তুতকারক ওই মেয়েটিকে শোকজ করেছি। যে গ্রাহকের বিলে এমন হয়েছে, বিল সংশোধনের জন্য সেই গ্রাহকের কাছে আমি অফিসার পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এই বিষয়ে রং লাগিয়ে বড় কিছু করতে চাইছে। মানুষের তো ভুল হতেই পারে।
সুত্র — সংগৃহীত।