এস এম মহিদার রহমান, সাতক্ষীরা ঃ সাতক্ষীরার সকল রুট সকাল থেকে ডিজেল চালিত গণপরিবহন চলাচল অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কমছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গণপরিবহনের ভাড়া। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারন যাত্রীরা। তাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমত ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করছেন। তবে, ভাড়ায় চালিত যান চালকরা অনেকেই অভিযোগ করছেন রাতারাতি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন যাত্রীরা ভাড়া বেশী দিয়ে তাদের গাড়ীতে উঠতে চাচ্ছেন না। এর ফলে আজ অনেকেই ভাড়া না পেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।

এদিকে, জ্বলানী তেলের মুল্য বৃদ্ধিতে পণ্য পরিবহনে প্রভাব পড়ছে ভোমরা স্থলবন্দরে। শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে পুন:নির্ধারিত অস্থায়ী ভাড়ায় ভোমরা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রাক ছেড়ে গেছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে আগের ভাড়ার সাথে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা যোগ করে পণ্যবাহি ট্রাকের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

তিনি আরো জানান, ভোমরা থেকে ঢাকায় গড় পড়তায় ট্রাক ভাড়া ছিল ২০ হাজার টাকা। জ্বালানী তেলের মুল্যবৃদ্ধির পরে আজকে সেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২২ হাজার টাকা। অন্যদিকে ভোমরা থেকে সিলেট ট্রাক ভাড়া ছিল ২৮ হাজার টাকা। আজকে সেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩১ হাজার টাকা। সরকারি ভাড়া নির্ধারনের হার জানতে পারলে সেই অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারন করা হবে বলে তিনি আরো জানান।

সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু জানান, সাতক্ষীরা-খুলনা ও সাতক্ষীরা-যশোর রুটসহ জেলার সকল রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সকালের দিকে ভাড়া নিয়ে দ্বিধায় গণপরিবহনের কিছুটা স্বল্পতা ছিল। সরকারী ভাবে বাসভাড়া বদ্ধির কোন নির্দেশনা না দেওয়ায় শ্রমিকরা আগের ভাড়ার সাথে মাথাপিছু ১০-২০ টাকা বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাস চলাচল করছে। এদিকে, ঢাকাগামী পরিবহন ১শ’ থেকে দেড়শ’ টাকা বেশি ভাড়ায় চলাচল করছে বলে পরিবহন সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষনা শোনা মাত্রই সাতক্ষীরার অধিকাংশ পেট্রোল পাম্পগুলাতে হঠাৎ করে রাত সাড়ে দশটার দিকে হঠাৎ করেই তেল দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযাগ বন্ধ করে পালিয়ে যায় পাম্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে করে জ্বালানি তেল নিতে আসা যানবাহনের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানী তেলের অভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয় দূরদূরান্ত থেকে আসা সাধারণ পথচারীসহ জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহনগুলোকে। অধিক লাভের আশায় পেট্রোল পাম্প মালিকরা জ্বালানি তেল মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাত ১২ টার আগেই পাম্প বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ জ্বালানি তেল নিতে আসা যান চালকদের। এ সময় জ্বালানি তেল নিতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ পেট্রোল পাম্পে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।