স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নে মরনোত্তর গুনীজন সংবর্ধনা ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাদা মনের মানুষ খ্যাত সায়েদ আলী ও ডাক্তার জাবেদ আলীর উদ্যোগে উপজেলার কুলিয়া ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে পানিসারা গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক মীর বাবরজান বরুনের সভাপতিত্বে এবং রাজিব হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আলী রেজা বকুল,সেচ্ছাসেবী সংগঠন সেবা’র সভাপতি মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবু, কুলিয়া ছিদ্দিীকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি সামছুর রহমান, জান্নাত ফাউন্ডেশনের সভাপতি সালমা খাতুন, সাংবাদিক এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি ডাক্তার বিল্লাল হোসেন,সেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্ধনের আহবায়ক আলমগীর হোসেন,পানিসারা ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হাসনা হেনা সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

পরে ১৯০৯ সালে কুলিয়া জামে মসজিদ নির্মাণের জন্য মরহুম হাজী আমির আলী , ১৯১৬ সালে কুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য মরহুম মীর সুরতজান, ১৯৬৫ সালে কুলিয়া সিদ্দীকিয়া দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য মরহুম মুন্সি আজিজুর রহমান কে মরনোওর ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কয়েকজনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সায়েদ আলী বলেন, আমাদের আরও আগেই এসকল গুনীজনদেরকে সন্মান জানানো উচিৎ ছিল। তবে দেরীতে হলেও এধরণের একটি আয়োজন করতে পেরে আমরা খুশী। অনুষ্ঠানটি সফল করতে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি, মরণোত্তর সংবর্ধনা প্রাপ্ত কুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মীর সুরতজানের দৌহিত্র মীর বাবরজান বরুন বলেন, আমার দাদা তৎকালীন সময়ে জমিদার ছিলেন। তখনকার হিন্দু জমিদারদের চাপের মুখে নতিস্বীকার না করে তিনি সমাজের কৃষক শ্রমিক জনতার স্বার্থে সংগ্রাম করে গেছেন। আমরা তার উত্তরসূরী হিসেবে এঅঞ্চলে মীর সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মীর লুৎফর রহমান এতিমখানা, মীর খলিলুর রহমান দাতব্য চিকিৎসালয়, ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য নাইট স্কুল প্রতিষ্ঠা সহ বিভিন্ন সমাজকল্যাণ মুলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। আজকের এই সন্মাননা আমাদেরকে কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে কুলিয়া গ্রামের কিছু হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।