নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা সেতু চালুর পর সহজ হয়েছে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে এর সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনাও। সেতু উদ্বোধনের পর এ পর্যন্ত বেশ কিছু দুর্ঘটনায় প্রাণহানিও হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু সেতুর জাজিরা টোল প্লাজা থেকে অন্তত ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে নেই কোনো হাসপাতাল। কাছাকাছি কোনো হাসপাতাল না থাকায় সহজে মেলে না প্রাথমিক চিকিৎসা।

এ পাড়ে কেউ দুর্ঘটনায় আহত হলে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তাদের নিতে হয় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে। সেই সঙ্গে ফরিদপুর কিংবা মাদারীপুরে চিকিৎসার জন্য যেতে হয় প্রায় দ্বিগুণ পথ।

পদ্মা সেতুতে চলাচলকারীরা জানায়, সেতুর আশেপাশে হাসপাতাল না থাকার কারণে, অনেক সময় পথেই মৃত্যু হয় রোগীর। তাই সেতু এপার বা ওপার চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা দরকার।

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান বলেন, এখানে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তবে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে জাজিরা থানার হাসপাতালে না হয় ঢাকা মেডিকেলে। আরও বড় সমস্যা হচ্ছে এখানে কোনো অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থাও নেই।

জাজিরা টোল প্লাজা থেকে সবচেয়ে কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। যদিও সেখানে রয়েছে লোকবল সংকট। সেখানকার আবাসিক চিকিৎসক নাসিত রুবায়েত হাসান বলেন, সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের একজন অর্থপেডিক্সের কনসালটেন্ট এবং একজন সার্জারি কনসালটেন্ট পদায়ন করা অতি জরুরি। কারণ যে কোনো দুর্ঘটনায় এ দুটি পদে চিকিৎসকের সেবা অনেক বেশি জরুরি।

দুর্ঘটনা রোধের পাশাপাশি পদ্মা সেতুর দক্ষিণ পাড়ে উন্নত হাসপাতাল নির্মাণের কথা বলছেন এ পথের যাত্রীরা।