মোঃ নজরুল মিয়া, দৌলতদিয়া থেকে : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে প্রায় ৬ শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। যে কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যানবাহনের চালক সহকারী ও যাত্রীদের।
রবিবার (১৯ জুন) দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘাটের জিরো পয়েন্ট হতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিডমিল এলাকা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকায় ট্রাক ও কার্ভাডভ্যানের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। আর দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সিরিয়াল রয়েছে। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসগুলো রাস্তার ডানপাশ দিয়ে সরাসরি ফেরিতে উঠতে দেখা যায়।
এদিকে যাত্রীবাহী বাস ও কাঁচামালের গাড়ি এক লাইনে রেখে পারপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় ফেরি ও ঘাট সংকট রয়েছে, দৌলতদিয়া প্রান্তে ৭ টি ঘাট থাকলেও দীর্ঘদিন যাবত ২টি ঘাট বন্ধ রয়েছে, ৫টি ঘাট দিয়ে ফেরির যানবাহন উঠানামা করছে।
এছাড়া এই নৌ-রুটে বহরে ২১টি ফেরি থাকলেও গোলাম মওলা নামের ফেরিটি গত বৃহস্পতিবার শিবালয় ঘাটে নেওয়া হয়েছে, টাপলো ও যমুনা নামের দুইটি ফেরি বসা রয়েছে এছাড়াও শাহ্ মগদুম নামের ফেরিটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে মেরামতের জন্য ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রয়েছে। বর্তমানে ছোট বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্য চৌহান বলেন, ভোগান্তি ও যানজট কমাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এই রুটে ফেরি ও ঘাট সংকট রয়েছে, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ-রুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে ৭টি ঘাট থাকলেও দীর্ঘদিন যাবত ২টি ঘাট বন্ধ রয়েছে, ৫টি ঘাট দিয়ে ফেরির যানবাহন উঠানামা করছে।
তিনি আরও জানান, এই নৌ-রুটে বহরে ২১ টি ফেরি থাকলেও গোলাম মওলা নামের ফেরিটি গত বৃহস্পতিবার অন্য ঘাটে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া টাপলো ও যমুনা ফেরি দুইটি বসা রয়েছে এবং শাহ্ মগদুম ফেরিটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ছোট বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। যে কারণে যানবাহনের দীর্ঘ সারির তৈরি হয়েছে।