এস এম মহিদার রহমান, সাতক্ষীরা ঃ সাতক্ষীরার বিনেরপোতায় সড়কের উপর পড়ে থাকা বেতনা নদী খননের কর্দমাক্ত মাটিতে চাকা পিছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক মোটর সাইকেল চালকসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো একজন। শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা ঋ’শিল্পীর সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার মৃত শাহ মোঃ আব্দুল কাদিরের ছেলে শাহ মোঃ বজলুর রহমান (৫৫), একই এলাকার ময়েন ড্রাইভারের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫)। আহত ব্যক্তি হলেন, পলাশপোল এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৫৪)।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাফিজুল ইসলাম জানান, তাকে ও বজলুর রহমানকে নিয়ে আব্দুস সালাম একটি নাম্বার বিহীন নীল রং এর এপাচি মোটর সাইকেল চালিয়ে পাটকেলঘাটা থেকে ব্যবসায়িক কাজ শেষে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ঋ’শিল্পীর সামনের সড়কে একটি কালভার্টের উপর পড়ে থাকা বেতনা নদী খননের মাটিতে চাকা পিছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীতমুখী একটি এম্বুলেন্সের (ঢাকা মেট্রো-ছ-৭১-০৫৩৬) সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে তাদের বহনকারী মোটর সাইকেলটি। এঘটনার পর গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০টার দিকে বজলু ও সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুস সালাম মারা যান। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে বেতনা নদী খননের মাটি ডাম্পার ট্রাক্টর যোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করছেন। আর এ মাটি বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাক্টর থেকে সড়কের উপর পড়ে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে একটু বৃষ্টি হলেই সড়ক প্রচন্ড পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। এতে করে মানুষের জীবনহানি ঘটছে। বিষয়টি দেখভালের জন্য তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আসাদুজ্জামান নূর জানান, এ ঘটনায় রাতেই বজলু ও সালামের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হাফিজুর রহমান বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ^জিত অধিকারী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনা কবলিত মোটর সাইকেল ও এম্বুলেন্সটি জব্দ করা হয়েছে।