নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের চেয়ে এখনো অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।

বুধবার সন্ধ্যায় ১০৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৯৩ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৮৫ ভোট। আর মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৭৮টি ভোট।

এর আগে ভোট গণনা শুরুর পর ৫২টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গিয়েছিল সাক্কু এগিয়ে ছিলেন রিফাতের থেকে। তখন রিফাতের ভোট ছিল ২৫ হাজার ৩১৯টি। আর সাক্কুর প্রাপ্ত ভোট ছিল ২৬ হাজার ৬৫টি।

এদিকে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৩১৪টি ভোট পেয়েছেন। মেয়র পদে আরও দুই জন প্রার্থী আছেন। তাদের ভোটের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয়।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১০৫টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় ভোট।

নির্বাচনে কোনো সহিংসতার খবর না পাওয়া গেলেও কিছু কিছু জায়গায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলা, এক বুথের ভোটাররা অন্য বুথে যাওয়া নিয়ে এমন ভোগান্তির সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ। করপোরেশন নির্বাচনে প্রায় সব কেন্দ্রেই ইভিএম স্লো ছিল। এ কারণে ধীরগতিতে ভোট পড়ায় দিন শেষেও লম্বা সারিতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ভোটারদের। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের ধারণা না থাকার বিষয়টি। ফলে অনেককে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। অর্থাৎ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী আছে ভোটের মাঠে। এ নির্বাচনে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দুজন।