সাব্বির হোসেন, স্ট্যাফ রিপোটার : ঝিকরগাছার কৃত্তিপুর গ্রামের ভ্যানচালক বৃদ্ধ ইকরাম হোসেন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে আলমগীর সরদার। বাড়ি থেকে ভ্যান চুরির সময় বাধা দেয়ায় ইকরাম হোসেনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ডে তারা ৫ জন জড়িত বলে জানিয়েছে আলমগীর। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

আলমগীর হোসেন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার ক্যাশা মির্জাপুর গ্রামের মতলেব সরদারের ছেলে। শনিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই স্নেহাশিস দাস তাকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করেন।আটক আলমগীর সরদার পেশায় একজন ইট ভাটার শ্রমিক হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করে। এরআগে আটক সজীব, ওয়াসিম, ইমন আলমগীরসহ আরও একজন মিলে সংঘবদ্ধভাবে চুরি করে বেড়াত। ২০২১ সালের ২০ জুলাই দিবগত রাতে তারা বৃদ্ধ ইকরামুলের বাড়িতে ভ্যানচুরির উদ্দেশ্যে যায়। ভ্যান নিয়ে যাওয়ার সময় বৃদ্ধ ইকরামুল টের পেয়ে চোরেদের বাধা দেন। এ সময় তারা ইকরামুলকে ধরে গায়ের জামা খুলে হাত ও মুখ বেধে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাড়ির পাশের কলা বাগানের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনার সাথে তার ৫ জন জড়িত বলে জানিয়েছে আলমগীর।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, বৃদ্ধ ইকরাম হোসেন গরু পালনসহ ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি এ বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। ২০২১ সালের ১৯ জুলাই তিনি একটি গরু ৫৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। পরদিন রাতে তিনি বাড়ির পাশের মোড় থেকে চা খেয়ে বাড়ি যান। পরদিন বিকেলে বাড়ির পাশে কলাবাগানে হাত-পা বাধা মৃত দেহ পাওয়া যায়। এ ব্যাপার নিহতের মেয়ে শ্রীরামপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী সালমা খাতুন বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে বিপিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্নেহাশিস দাস এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও চারজননেক আটক করেছেন। তারা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলমগীল হোসেনকে শনিবার সাতক্ষীরার দেবহাটার হাদীপুর গ্রামের রূপা ব্রিক্স থেকে আটক করেন। গতকাল তাকে আদালতে সেপর্দ করা হয়ে হত্যা সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।