মোঃ বাদশা প্রামানিক ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
ডিমলায় আজ (বৃহস্পতিবার) ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সকাল ১১ঃ০০ টায় বিএনপি ও এর সকল অঙ্গ সংগঠনের রেলি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৭৫ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা ও অব্যবস্থার ফলে ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবসহ পরিবারের সকলকে সেনাবাহিনীর কিছু সংখ্যক অফিসার খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে হত্যার পর ক্ষমতা আরোহণের চেষ্টা করে। এরপর খালিদ মোশারফ এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি অভ্যুত্থানে গৃহবন্ধী হন জিয়াউর রহমান। ৭ই নভেম্বর সিপাহী ও জনতার পাল্টা অভ্যুত্থানে মুক্ত হন এবং মুক্তির দূত হয়ে উঠেছিলেন সিপাহী জনগণের মনে। যদিও পরবর্তীতে তার স্মৃতি মুছে ফেলতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিড়ে সরকারের অদূরদর্শিতা ও অব্যবস্থাপনায় আশার আলো দেখান। হয়ে ওঠেন সিপাহী ও জনতার নয়নের মনি। উঠে যান ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে। সেই থেকে ৭ই নভেম্বর দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।

ডিমলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এরই অংশ হিসেবে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লবের সংহতি দিবস উপলক্ষে রেলি বের করে, ডিমলা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অফিস প্রাঙ্গনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হন।রেলি ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন।

ডিমলা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রধানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি নুর আলম, উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম (লিটন) ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন। বক্তারা তাদের বক্তব্য বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবের হত্যার মধ্য দিয়ে জাতি যখন অন্ধকারে হারিয়ে যায় । রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনায় সকল কাঠামোকে ধ্বংস করে দেয়। ক্ষমতা নিয়ে যখন ভাগাভাগি চলে। সেই মুহূর্তে জনগণ ও সিপাহী মিলে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে রাষ্ট্রের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দূর করার দায়িত্ব দেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রহমান শক্ত হাতে এই সব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দূর করে জাতিকে আশার আলো দেখান। তাই জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে তার এই অবদানকে স্মরণ করে। অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন জাতী ও রাষ্ট্র গঠনের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর অবদানকে স্মরণ করে সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আগামীতে ডমার-ডিমলা তথা (নীলফামারী-১) আসনের বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করে, ঐক্যবদ্ধভাবে সাবেক সাংসদ শাহরিন ইসলাম চৌধুরী (তুহিন) ভাইয়ের হাতকে শক্তিশালী করব। ইনশাআল্লাহ!