নুরতাজ আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও কোনো পণ্য ছাড়াই ছেড়ে গেলো কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন।

শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জেলার রহনপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। তবে এই ট্রেনে কোনো চাষি তাদের সবজি পরিবহন করেননি। ফলে প্রথমদিন ট্রেনটি ছেড়েছে কোনো প্রকার সবজি ছাড়াই।

এর আগে গত শুক্রবার দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোতেও একই চিত্র দেখা যায়।

কৃষকদের দাবি ট্রেনে পরিবহনে ভাড়া কম হলেও স্টেশনে ওঠা-নামা এবং স্টেশন থেকে বাজারে সবজি নিতে সুবিধা না থাকায় সড়কপথে যে খরচ পড়ে তার থেকে ট্রেনে খরচ বেশি পড়ে যায়।

রহনপুরের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন জানান, পিকআপের থেকে ট্রেনের ভাড়া কম। তবে ট্রেনে পরিবহন করতে এই ভাড়ার পাশাপাশি কুলি খরচ, ফসলের মাঠ থেকে স্টেশন এবং স্টেশন থেকে মোকামে আলাদা পরিবহনে খরচ পড়ে যাচ্ছে কেজিপ্রতি তিন টাকার বেশি। অথচ সড়কপথে ট্রাকে মাল পরিবহন করতে তাদের খরচ হয় কেজিপ্রতি দুই থেকে আড়াই টাকা।

অপর কৃষক পারভেজ আলী বলেন, ট্রেনের সময় সকালে হওয়ায় পণ্য বাজারজাত নিয়েও রয়েছে নানা শঙ্কা। মূলত পিকআপে আমাদের সবজি ঢাকায় যায়। আমরা সন্ধ্যায় যাত্রা শুরু করে ফজরের আজানের সময় ঢাকায় পৌঁছতেই বিক্রি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এই ট্রেনের সময় সকালে, তাহলে আমরা বিক্রি করবো কখন।

স্টেশন সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনে ট্রেনটির যাত্রা বিরতি না থাকায় এবং আমনুরা স্টেশনেও কোনো সবজি না পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে শূন্য অবস্থাতেই ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মামুন অর রশিদ জানান, রাতে পণ্যবাহী স্পেশাল ট্রেনটি রহনপুর স্টেশনে এসেছিলো। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কোনো কৃষিপণ্য ছাড়াই এটি ছেড়ে যায়।

তিনি জানান, জেলার আমনুরা স্টেশন হয়ে ১৩টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তেজগাঁও স্টেশনে থামবে ট্রেনটি। এতে প্রতি কেজি কৃষিপণ্যে খরচ পড়বে ১ টাকা ৩০ পয়সা। কম খরচে কৃষকের শাক-সবজি পরিবহনের জন্য জেলার রহনপুর রেলস্টেশন থেকে চালু হয়েছে সবজি স্পেশাল ট্রেন।