গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।। স্টাফ রিপোর্টার।।ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পাক হানাদার বাহিনীর গোলাগুলি ও হত্যা ঘটনায় পীরগঞ্জ উপজেলাধীন গদাগাড়ি এলাকার পুকুরে ৯জন বাঙালি নিহত হয়। এর মধ্যে বেলশুয়া গ্রামের নিজামুদ্দিনের পুত্র শুকুর আলীর নির্মমভাবে মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় প্রতক্ষ্যদর্শী নিহতের সহযোদ্ধা প্রতিবেশী জহুর আলী ভারতে পালিয়ে গিয়ে মুক্তি যোদ্ধা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। জানা যায়, দেশ স্বাধীনতার ৫১ বছর হলেও উক্ত নিহত শুকুর আলীর স্ত্রী সকিনা খাতুন ২ ছেলে ও ২ কন্যাসহ নাতি নাতনি নিয়ে অসহায় ভাবে সংসারিক ও পারিবারিক দিনযাপন করছেন। এ ব্যাপারে বৃদ্ধ সকিনা গত ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে তার নিহত শহীদ স্বামী শুকুর আলীর অসহায় পরিবারের জন্য সরকারি বা সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু অদ্যাবধি অসহায় শকিনা তার পরিবারের জন্য কোন সহযোগিতা পায়নি। অথচ উক্ত নিহত শুকুর আলীর বন্ধু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি ভাতা প্রাপ্ত হয়েছেন।

এদিকে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে মৃত হয়ে উক্ত নির্মম ঘটনায় ৯ জন নিহত শহীদ মুক্তি যোদ্ধার কোন প্রকার সরকারি জরিপ ও তদন্ত হয়নি এখনো। স্বামীর মৃত্যুর পর শকিনা তার পরিবারের সরকারি কোন রকম সাহায্য পায়নি। নিহত শহীদ মুক্তি যোদ্ধা শুকুর আলীর মৃত্যুর পর শকিনা তার ২ছেলে ২ কন্যাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে শরনার্থী হন। ভারতের শরনার্থী মালন ক্যাম্পে অবস্থানে উক্ত শকিনার আর ও একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলে শহীদ মুক্তি যোদ্ধার স্ত্রী বৃদ্ধ শকিনা বেগম আবার ও স্বাধীন বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বেলশুয়া গ্রামের স্বামীর নিজ বাস্তভিটায় নাজুক অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। এবিষয়ে শকিনা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি তাঁর শহীদ নিহত স্বামীর পরিবারের জন্য প্রাপ্য, প্রদত্ত সাহায্য কামনা করছেন। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর সুদৃষ্টি কামনা রয়েছে।

এ বিষয়ে শহীদ মুক্তি যোদ্ধার স্ত্রী শকিনা বেগম সাংবাদিককে বলেন, আমার কেউ নেই যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে ও কল্যানট্রাষ্টে দৌড় ঝাপ করবো, অসহায় ভাবে কোন রকম পরিবার চলছে। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আমার স্বামীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ভাতার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।