ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ সকালে থানায় জিডি, বিকালে পাওয়া গলো লাশ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামে।

গ্রামবাসি তোজাম্মেল হোসেন জানান, দুই দিন আগে (গত শুক্রবার রাতে) মাদ্রাসা ছাত্রী আইরিন আক্তার তিথি (১৮) একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দুধসর গ্রামের একটি কলাবাগানে আইরিণ আক্তার তিথির লাশ পাওয়া যায়। তিথি দুধসর গ্রামের মিঠুর মেয়ে। তিথিকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার পর তার শরীরে এসিড সাদৃশ্য কোন দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান।

মুঠোফোনে প্রতিবেশি বাদশা আলমগীর জানান, গত শুক্রবার রাতে ফোন পেয়ে তিথি পাশে কালুর বাড়িতে যায়। সেখানে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে। এরপর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রেমের সম্পর্কের কারণে কেউ ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করতে পারে এমন আশংকা করেন তিনি।

তিথির মা রেখা বেগম জানান, ঘটনার দিন একটি ফোন পেয়ে সে কালুর বাড়িতে যায়। যাওয়ার সময় তিথি নিজেই কললিষ্ট থেকে নাম্বারটি মুছে দিয়ে যায়। সেখানে কি হয়েছে বা কার সঙ্গে কলা বলেছে তা জানার আগেই তার মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিথির পিতা মিঠু জানান, রোববার সাকাল ১০টার দিকে তিথি নিখোঁজ থাকার বিষয়ে শৈলকুপা থানায় তিনি জিডি করেন। জিডি করার ৭ ঘন্টার মধ্যে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার মেয়ের লাশ মিললো। তার মেয়ে গত বছর দাখিল পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে তিনি দাবী করে হত্যার নেপথ্যোর কুশিলবদের তিনি সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবী জানান।

এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রোববার সকালে আইরিন আক্তার তিথি নামে এক মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে জিডি করেন তার পিতা মিঠু। এখন শুনছি তার লাশ পাওয়া গেছে। তিনি জানান খবর পেয়ে আজ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করবেন বলে ওসি গনমাধ্যমকর্মীদের জানান।