এস এম মহিদার রহমান, সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা কলারোয়ায় অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সানচিতা হাসান সজুতি হত্যার সাত দিন পর নিহতের প্রেমিক ঘাতক আব্দুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে কলারায়া পৌরসভার আফজালের মোড় এলাকা থেকে তাক আটক করা হয়। এর আগে গত ২৮ মার্চ সকাল সাড় ৭ টার দিকে সজুতির মরদেহ উপজলার জালালাবাদ মাষ্টার পাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন সরদারের কুল বাগানের ড্রেন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সজুতির মা লায়লা পারভীন বাদী হয় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত ঘাতক আব্দুর রহমান কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হাসানের ছেলে ও হাবিবুল ইসলাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ।
কলারায়া থানার ওসি নাসির উদ্দীন মৃধা জানান, সানচিতা হাসান সজুতির সাথে তার প্রেমিক প্রতিবশী আব্দুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিনের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুর রহমান তার জবানবদন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেছে, সেজুতির সাথে তার গভীর প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি সে অন্য ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মানতে পারেনি প্রেমিক আব্দুর রহমান। এমতাবস্তায় আব্দুর রহমান তার প্রেমিকা সেজুতিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায় গত ২৭ মার্চ সোমবার রাতে আব্দুর রহমান তার প্রেমিকা সেজুতিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কোন একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় আব্দুর রহমান তার প্রেমিকা সেজুতিকে ধাক্কা দিলে সে পার্শ্ববর্তী বাড়ির দেওয়ালে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাৎক্ষণিক জ্ঞান না ফেরায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আব্দুর রহমান তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তার মরদেহ প্রতিবেশী আলাউদ্দিন সরদারের কৃষি ক্ষেতের কুল বাগানের ড্রেনে ফেলে রাখে। ওসি আরও জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঘাতক আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহমানকে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদানর জন্য আনা হয়েছে। জবানবন্দি প্রদান শেষে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।