খুলনা জেলা প্রতিনিধি: খুলনায় উচ্ছৃঙ্খল’ ও বেপরোয়া নেতাকর্মী নিয়ে বেকায়দায় বিএনপি। বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েও দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারছে না। ফলে বিব্রত ও ক্ষুব্ধ দলের নীতিনির্ধারকরা।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই জেলা ও মহানগর সহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে জমি দখল, দোকান ও মার্কেটে চাঁদাবাজি এবং প্রতিপক্ষের ওপর হামলাসহ নানা অভিযোগ আসছে। বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েও নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না দলটি। এমন ‘উচ্ছৃঙ্খল’ নেতাকর্মীদের নিয়ে এখন বেকায়দায় পড়েছে বিএনপি। তাদের কর্মকাণ্ড দলটির জন্য এখন গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে।

এসব ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির শীর্ষ নেতারা ক্ষুব্ধ এবং বিব্রত।

খুলনা মহানগর বিএনপির সূত্র জানায়, চাঁদাবাজি, ভাংচুর সহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত কয়েকদিনে ৫ জনকে দল থেকে বহিস্কার ও ২০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিভিন্ন কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৬ আগস্ট জেলা বিএনপির সদস্য নাজমুস সাকিব পিন্টুকে শোকেস করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান ও সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পি স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিভিন্ন কাজের সঙ্গে নাজমুস সাকিব পিন্টুর জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডের জন্য কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা ৩ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতেও তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগে গত ১০ আগস্ট হিন্দু ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের সত্যতা পাওয়ায় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পদক এস এম এনামুল হক ও সদস্য কিশোর মন্ডলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক অনুষ্ঠানে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, বিএনপিতে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও বিশৃঙ্খলাকারীদের ঠাঁই নেই। কোনো চাঁদাবাজের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। যদি কোথাও কেউ বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে যায়, তাকে ধরে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।

এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড.এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, চাদাঁবাজির বেশ কয়েকটি ঘটনা আমাকে কয়েকজন জানিয়েছেন। আমি তাদের বলেছি আপনাদের কাছে কোন কল রেকর্ড অথবা নুন্যতম কোন প্রমাণ থাকে সেটা আমাদের দপ্তরে দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।