জেলা প্রতিনিধি,খুলনাঃ দিঘলিয়া উপজেলায় সেনা ও নৌ বাহিনীর দৃঢ় পদক্ষেপে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক হচ্ছে জীবন যাত্রা।

থানা পুলিশ ও সরকারি অফিস গুলোতে কাজের গতি এসেছে। যথারীতি শুরু হয়েছে ব্যাংক লেনদেনও। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকে দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একটা মহলের দ্বারা দোকান পাট, বাড়িঘর, মৎস্য ঘের, স্কুল-কলেজ, হাট-বাজারসহ সরকারি স্থাপনায় হামলা, লুটপাট, ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগের অব্যাহত ঘটনা ঘটে। অনেকের যুগেরও অধিক সময়ের ব্যবসা স্থাপনা বেদখল হয়ে যায়। সরকারি রাস্তা ও প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ টাকার নানা ধরণের গাছ কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর টিমের অব্যাহত প্রচেষ্টা ও অভিযানে এ জনপদের সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। সেই সাথে স্থানীয় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম সাইফুর রহমান মিন্টু ও জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারি মুশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে চলে সন্ত্রাস প্রতিরোধ সভা সমাবেশ।

সেনা ও নৌবাহিনীর প্রচেষ্টায় দিঘলিয়া থানা পুলিশ তাদের দায়িত্বে ও রুটিন কাজে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। বুধবার থেকে ফাঁড়ি পুলিশ তাদের স্ব স্ব ফাঁড়িতে ফিরে যাবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য রাজনৈতিক আপদকালীন সময়ে দিঘলিয়া উপজেলার সকল ফাঁড়ি পুলিশকে দিঘলিয়া থানায় ক্লোজ করে নিয়ে আসা হয়েছিল। ফাঁড়ির পাহারায় ছিল স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ। যার কারনে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন গ্রামে বাড়িঘরে হামলা,লুটপাট করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তোলে।