০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

সিংগাড়ী হাসপাতালের জন্য কোটি টাকার জমি বিনামূল্যে দান করে প্রতারিত মোন্তাজ উদ্দিনের পরিবার, কথা রাখেননি সাবেক হুইপ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৮:২৩:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১২

স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার অন্তর্গত ৬নং বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য ১ একর জমি দান করেন মোঃ মোন্তাজ শেখ ও তার পরিবার।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও এমপি শেখ আব্দুল ওহাব কথা দিয়েছিলেন, জমি দিলে হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের চাকরি হবে, পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হবে।

চাকরি ও পদের আশায় মোন্তাজ উদ্দিন ও তার পরিবার কোন অর্থ না নিয়ে প্রধান সড়কের পাশে অভয় নগর উপজেলার সিঙ্গাড়ী মৌজায় খতিয়ান ৭৬, হাল দাগ ৪০০২, ৪০০৩ ও ৪০০৪ দাগ থেকে মোট ১ একর জমি দান করেন।যার বাজার মুল্য বর্তমানে প্রায় দুই কোটি টাকা।

২০১২ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে যথা সময়ে কাজ শেষ হলেও কেউ কথা রাখেনি, জমি দাতার পরিবারের কোন সদস্যের চাকরি হয়নি হাসপাতালটিতে। পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যানও নিযুক্ত করা হয়নি।

এই বিষয়ে কথা হয় মোন্তাজ শেখের ছেলে আব্দুল জব্বার শেখের সাথে, তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, হুইপ ও এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের কথায় পরে কোটি টাকা দামের জমি বিনা মুল্যে দিয়েছিলাম। আমরা কথা রাখলেও হুইপ সাহেব কথা রাখেননি, চাকরি পাইনি, হাসপাতালের দায়িত্বও দেওয়া হয়নি আমাদের। বার বার হুইপ সাহেবের কাছে ধর্ণা দিয়ে আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি।

এদিকে পিতার মৃত্যুর পরে আর্থিক ভাবে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে আমাদের।

হাসপাতালটিতে জনবল সংকট রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রতিনিয়ত মালামাল চুরি হচ্ছে, এ নিয়ে ভাটপারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বারবার অভিযোগ করলেও কোন চোর ধরা পড়ছেনা, চুরি হওয়া মালামাল ও উদ্ধার হচ্ছে না।

আমি বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টার কাছে বিনীত অনুরোধ করবো

সিংগাড়ী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপালের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য আমাকে দায়ীত্ব দেওয়া হোক।আমার পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে চাকরি ব্যবস্থা করা হোক।
এতে আমাদের অস্বচ্ছল পরিবারটির স্বচ্ছলতা ফিরবে এবং হাসপাতালটিও সুন্দর সুশৃঙ্খল ভাবে চলবে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সাহেব হুইপ চাকরি ও দায়ীত্ব দেওয়ার কথা বলে এই পরিবারটির কাছ থেকে হাসপাতালের জন্য জমি নিলেও কোন কথাই তিনি রাখেন নি।হুইপের ভয়ে এতদিন তারা প্রতিবাদ করতে পারেনি।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, হাসপাতালটিতে চিকিৎসক নিয়মিত আসে না, ৫ই আগস্টের পর থেকে ঔষধ নেই,মাস খানেক আগে দশটি ফ্যান মটর সহ মুল্যবান মালামাল চুরি হয়েছে,ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ এসে তদন্ত করে গেছে,কিন্তু এখনও চোর ধরা পরেনি।

হাসপাতালটিতে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি ও পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে জমি দাতার ছেলে আব্দুল জব্বার শেখকে চেয়ারম্যান হিসেবে হাসপাতাল পরিচালনার দায়ীত্ব দেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

Please Share This Post in Your Social Media

সিংগাড়ী হাসপাতালের জন্য কোটি টাকার জমি বিনামূল্যে দান করে প্রতারিত মোন্তাজ উদ্দিনের পরিবার, কথা রাখেননি সাবেক হুইপ

আপডেট: ০৮:২৩:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার অন্তর্গত ৬নং বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য ১ একর জমি দান করেন মোঃ মোন্তাজ শেখ ও তার পরিবার।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও এমপি শেখ আব্দুল ওহাব কথা দিয়েছিলেন, জমি দিলে হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের চাকরি হবে, পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হবে।

চাকরি ও পদের আশায় মোন্তাজ উদ্দিন ও তার পরিবার কোন অর্থ না নিয়ে প্রধান সড়কের পাশে অভয় নগর উপজেলার সিঙ্গাড়ী মৌজায় খতিয়ান ৭৬, হাল দাগ ৪০০২, ৪০০৩ ও ৪০০৪ দাগ থেকে মোট ১ একর জমি দান করেন।যার বাজার মুল্য বর্তমানে প্রায় দুই কোটি টাকা।

২০১২ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে যথা সময়ে কাজ শেষ হলেও কেউ কথা রাখেনি, জমি দাতার পরিবারের কোন সদস্যের চাকরি হয়নি হাসপাতালটিতে। পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যানও নিযুক্ত করা হয়নি।

এই বিষয়ে কথা হয় মোন্তাজ শেখের ছেলে আব্দুল জব্বার শেখের সাথে, তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, হুইপ ও এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের কথায় পরে কোটি টাকা দামের জমি বিনা মুল্যে দিয়েছিলাম। আমরা কথা রাখলেও হুইপ সাহেব কথা রাখেননি, চাকরি পাইনি, হাসপাতালের দায়িত্বও দেওয়া হয়নি আমাদের। বার বার হুইপ সাহেবের কাছে ধর্ণা দিয়ে আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি।

এদিকে পিতার মৃত্যুর পরে আর্থিক ভাবে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে আমাদের।

হাসপাতালটিতে জনবল সংকট রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রতিনিয়ত মালামাল চুরি হচ্ছে, এ নিয়ে ভাটপারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বারবার অভিযোগ করলেও কোন চোর ধরা পড়ছেনা, চুরি হওয়া মালামাল ও উদ্ধার হচ্ছে না।

আমি বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টার কাছে বিনীত অনুরোধ করবো

সিংগাড়ী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপালের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য আমাকে দায়ীত্ব দেওয়া হোক।আমার পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে চাকরি ব্যবস্থা করা হোক।
এতে আমাদের অস্বচ্ছল পরিবারটির স্বচ্ছলতা ফিরবে এবং হাসপাতালটিও সুন্দর সুশৃঙ্খল ভাবে চলবে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সাহেব হুইপ চাকরি ও দায়ীত্ব দেওয়ার কথা বলে এই পরিবারটির কাছ থেকে হাসপাতালের জন্য জমি নিলেও কোন কথাই তিনি রাখেন নি।হুইপের ভয়ে এতদিন তারা প্রতিবাদ করতে পারেনি।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, হাসপাতালটিতে চিকিৎসক নিয়মিত আসে না, ৫ই আগস্টের পর থেকে ঔষধ নেই,মাস খানেক আগে দশটি ফ্যান মটর সহ মুল্যবান মালামাল চুরি হয়েছে,ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ এসে তদন্ত করে গেছে,কিন্তু এখনও চোর ধরা পরেনি।

হাসপাতালটিতে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি ও পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে জমি দাতার ছেলে আব্দুল জব্বার শেখকে চেয়ারম্যান হিসেবে হাসপাতাল পরিচালনার দায়ীত্ব দেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।