এসএম স্বপন: বেনাপোলে স্থলবন্দর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বাণিজ্য স্বাভাবিক করতে স্থানীয় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী।

এর আগে সভায় নিহত ছাত্রদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং তাদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়।

শনিবার(১০ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেনাপোল পোর্ট থানার অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্তের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী, সুধী সমাজ, ছাত্র জনতা ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ আলোচনায় অংশ নেন।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বক্তব্যে বলেন, শুধু মাত্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন। স্থানীয় জনগণ এবং ছাত্র জনতা থেকে শুরু করে সবার সক্রিয় ভূমিকা থাকলে খুব দ্রুত পরিস্থিতি সামলিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল করা সম্ভব। এছাড়া সম্প্রতি নাশকতামুলক বিভিন্ন ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সবাইকে সহনশীল হতে অনুরোধ জানান এবং সহযোগীতা কামনা করেন।

মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, শার্শা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টের সহসভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি নাজিমউদ্দীন, সাধারন সম্পাদক সম্পাদক আবু তাহের ভারত, ছাত্র প্রতিনিধি রেজোয়ান আহমেদ আকাশ, শার্শা থানা যুব দলের আহবাহক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদা, শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল মান্নান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব রাহানুজ্জামান দিপু, বেনাপোল পৌর মেয়র ও আ: লীগের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দীন, প্রেসক্লাব বেনাপোলের সেক্রেটারি বকুল মাহাবুব ও শার্শা উপজেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল হক।

বক্তব্যে আ,লীগ সরকারের আমলে নির্যাতিত বিএনপি, জামাত কর্মীরা পূর্বের ক্ষোভ ভুলে সৌহাদ্য-সম্প্রতির সাথে সব দলের সাথে রাজনৈতিক চর্চা ও বাণিজ্য পরিচালনার অঙ্গীকার করেন। আ: লীগের নেতা-কর্মীরা একত্বতা জানিয়ে সমর্থন দেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ শে জুলাইয়ের পর থেকে আন্দোলনলন ও পরবর্তী সহিংসতায় এপথে ভারতের সাথে স্বাভাবিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছিল। সরকারের পতনের পর অনেক আ,লীগ নেতা কর্মীরা ঘর থেকে বের হতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। অনেক হিন্দু পরিবার নাশকতার আশঙ্কায় ছিল।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতা-কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে স্বাধীন ভাবে চলাচল ও ব্যবসা, বাণিজ্য পরিচালনায় সাহস জোগায়। সভায় অংশ গ্রহনকারীরা আশা করেন সবার সহযোগীতায় পূর্বের হিংসা, বিদ্বেশ ভুলে পিছনের ক্ষতি কাটিয়ে দেশ দ্রুত স্বাভাবিক হবে।