খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ জুলাই ১৫, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4242 বার
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী রেজা রাজুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুলের আয়োজনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট অভিনেতা ও আলী রেজা রাজুর জামাতা ফেরদৌস আহমেদ। বক্তব্যে তিনি বলেন, আলী রেজা রাজু খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। যশোরবাসীর প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল। তার প্রমাণ মেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার দিনগুলোতে। হাসপাতালে শয্যাশায়ী হলেও তার মনপ্রাণ সব সময় যশোরে পড়ে থাকতো। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি সুস্থ্য হয়ে যশোরে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই আশা পূরণ হয়নি। কর্মের মাধ্যমে আলী রেজা রাজু চিরদিন যশোরবাসীর হৃদয়ে থাকবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুন আর রশীদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। তিনি বলেন, একজন সফল জননেতার ভিতরে যতগুলো গুণ থাকা প্রয়োজন সব গুণের অধিকারী ছিলেন আলী রেজা রাজু। শৈশব কাল থেকেই সারাদিন মানুষের উপকার করে রাতে বাড়িতে ফিরতেন। ছিলেন অত্যন্ত সদালাপী মানুষ। রাজনীতিক জীবনে কাউন্সিলর থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য হয়েছেন। কিন্তু কখনো কারোর প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ণ হননি। যশোরের রাজনৈতিক নেতাদের ভিতরে তিনি ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহীর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার। তিনি বলেন, আজকের এই স্মরণসভায় দাদার জন্য ব্যথিত। কিন্তু একই সময় দলের ভিতরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আর এই ষড়যন্ত্র হলো জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে যারাই ষড়যন্ত্র করছে তারা হল জামাত-বিএনপির পেতাত্মা। আমার বিশ্বাস যশোর জেলা আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে তারা এই ষড়যন্ত্রকারীদের ছেড়ে দেবে না। ষড়যন্ত্র যতই করুক আমরা সবাই তার সাথে আছি। ষড়যন্ত্র করে শহিদুল ইসলাম মিলনকে কিছু করা যাবে না।
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহামুদ হাসান বিপু, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. লিটন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ বিপুল, পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রনি। অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত করেন পৌর ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপি, উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, সদস্য গোলাম মোস্তোফা, আনোয়ার হোসেন মোস্তাক, সামিরুল ইসলাম পিয়াস, যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, দেয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, চাঁচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম রেজা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নিয়ামত-উল্লাহ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দীন কবির পিয়াস, জেলা পরিষদের সদস্য রেহেনা আক্তার, পৌরসভার কাউন্সিলর রোকিয়া পারভীন ডলি, নাসিমা আক্তার জলি প্রমুখ।