খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ জুলাই ১৪, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 10992 বার
আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নোয়ালী গ্রামে গভীর রাতে স্পেন প্রবাসী আলতাফ হোসেনের বাড়িতে রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গৃহবধূ ফেরদৌসী খাতুন (৪২)কে হত্যা করেছে।
এসময় তাদের ১১ বছর বয়সী কন্যা জান্নাতী খাতুনকেও দূর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে। মেয়েটি বর্তমানে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে চোর রুমের ভেতরে প্রবেশ করে চুরির সময় ভিকটিম ফেরদৌসী খাতুন (৫০) তাদেরকে দেখে ফেলে এবং চিনতে পারে একারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের বরাতে জানা যায় রাতের বেলা ফেরদৌসী খাতুন তার মেয়েকে নিয়ে বাসায় ছিলেন। বাসায় আর কেউ ছিলোনা। এই সুযোগে কে বা কারা রান্নাঘরের গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। বিষয়টি ফেরদৌসী খাতুন টের পেলে দূর্বৃত্তরা তার বাম কানের পাশে, ডান হাতের আঙ্গুলে ও বুকের বাম পাশে ধারলো চাকু দিয়ে আঘাত করে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান এবং তার মেয়ে জান্নাতি খাতুনের বুকের ডান দিকে বগলের নিচে চাকু মেরে আহত করে তারা পালিয়ে যায়। জান্নাতি খাতুন বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। দুর্বৃত্তরা ঐ বাড়ি থেকে শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ছাড়া অন্য কিছু না নেওয়ায় ঘটনাটিকে রহস্যজনক মনে করছেন অনেকে।
স্পেন প্রবাসী আলতাফ হোসেন ও নিহত ফেরদৌসী খাতুনের তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে স্পেন প্রবাসী, মেয়ে জান্নাতি খাতুন আহত এবং ছোট ছেলে নওয়ালি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। ঘটনার সময় সে মাদ্রাসাতেই ছিলো।
ঘটনার পরপরই আহত জান্নাতি খাতুন তাদের বাড়ির পাশেই বাসা চাচা মিজানুর রহমান মিন্টু ও চাচী নিলুফা খাতুন কে বিষয়টা জানালে তারা স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ফেরদৌসী খাতুনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
ঝিকরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভুইঁয়া বলেন, হত্যার ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কোনো আসামি গ্রেফতার নেই। এদিকে গৃহবধূ খুনের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। এঘটনায় পিবিআই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।