নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণের অভিযোগে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ঈসমাইল হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হালুয়াঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুল হক।

মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে অভিযুক্ত ঈসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। ঈসমাইল মেয়েটিকে স্ত্রী দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল ঈসমাইলের। পাঁচ-ছয় মাস আগে ঈসমাইল ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে ওই কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। বিষয়টি পরে জানেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই কিশোরীর মা।

মো. মাহাবুবুল হক বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ঈসমাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর আমরা জানতে পারি ভুক্তভোগী কিশোরী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। এক বছর আগে ঈসমাইল ওই কিশোরীকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন। সম্প্রতি তাকে তালাক দেয়ায় কিশোরীর মা থানায় এই ধর্ষণের অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জানা যায়, ঈসমাইল হোসেন হালুয়াঘাট উপজেলার কালিয়ানীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মো. সুরুজ আলীর ছেলে। তার স্ত্রীসহ দুইটি সন্তান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে বসে ভিডিও বানিয়ে অনলাইন দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছেন ইসমাঈল হোসেন ও তার ছোট ভাই এনামুল হাসান। তাদের দলে কাজ করছেন আরও অন্তত ৮ থেকে ১০ সদস্য। যাদের প্রায় সবাই ছিলেন দিনমজুর।