বিল্লাল হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় বাসার মালিক আব্দুল খালেক রাজিয়া খাতুনকে ধর্ষণ করেছেন। অভিযোগ উঠেছে এলাকায়। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া রাজিয়া খাতুন খালেকের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। যার( নম্বর ৫৬)২৫/০৩/২০২২/ ধারা ৯/এয়ের ১/৩২৩,৩৩২,৩৭৯,৫০৬/ ধার দিয়ে নথিভূক্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার(২৪ মার্চ ) রাতে উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের নিঝুরী গ্রামে বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়া রাজিয়া খাতুনকে
ধর্ষণ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নিঝুরী আদর্শগ্রাম সংলগ্ন এলাকায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের নিঝুরী আদর্শপাড়া সংলগ্ন আব্দুল খালেকের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন। তারাকান্দা উপজেলার পানিয়াবর গ্রামের মৃত: আইনুদ্দিনের ছেলে মো. মহর আলী এক ব্যক্তি। গত বৃহস্পতিবার রাতে খালেকের বাসা সংলগ্ন একটি গানের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন এলাকাবাসী। রাত সাড়ে ১২.৩০ মিনিটের দিকে বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াকে ডাক দেন পরে ভাড়াটিয়ার রাজিয়া খাতুন দরজা খুলে বাড়ির মালিক দেখেন তার স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে ভাড়াটিয়া মেয়ে রাজিয়া খাতুনের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গে হাত লাগাতে থাকলে ওই অবস্থায় তার স্বামী টের পেয়ে বাহির দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে বাড়ির মালিক খালেক রুম থেকে বের হওয়ার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করেও বের হতে না পেরে সিলিং এর উপর দিয়ে পাশের রুমে গিয়ে পড়ে। পাশের রুমটি ছিলো। আব্দুল করিম মিয়ার। করিমের স্ত্রী: রাশেদা খাতুন শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে বাড়ির মালিক খালেককে। বাসার পাশেই ছিলো গানের অনুষ্ঠান রাশেদা ভয় পেয়ে স্বামীকে ডাকতে থাকে। এ সময় মোস্তফা মেম্বার, উজ্জ্বল মোল্লা, কামরুল ব্যান্ডার সহ বেশকিছু স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ধর্ষণকারী খালেকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র রাজিয়া খাতুনের স্বামীকে মারধর করে এবং হুমকি দিয়ে বলে যদি কাউকে বলিস তবে তকে প্রাণে মেরে ফেলবে এমন হুমকি দেওয়া হয়। তার পরেও রাজিয়ার স্বামী এলাকার লোকজনকে বলতে থাকেন। কিছু খন পরেই সঙ্গবদ্ধ চক্রটি রাজিয়ার স্বামী মহড় আলীকে, মোটরসাইকেলযুগে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সন্দেহমূলক ভাবে বাধা দেয়। ঐ অবস্থায় গাড়ি রেখে চক্রটি পালিয়ে যায়।

সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা হলেন, পাশের গ্রামের মোঃ জয়নাল আবেদীনের ছেলে লিটন মিয়া ও আইজুল মিয়া ছেলে সুমন মিয়া উভয় গ্রাম বান্দিয়া।

এ ব্যাপারে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া রাশেদা আক্তার জানান, আমি বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। ওই সময় সিলিং ফাঁক করে উপর দিয়ে আমার এসে ডুকলে একটি শব্দের আওয়াজ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে দেখি রুমের ভিতরে বাড়ির মালিক খালেক ভাই। আমি ভয় পেয়ে আমার স্বামীকে ডাকতে যায়। এ সময় মোস্তফা মেম্বার, উজ্জ্বল মোল্লা ও কামরুল ব্যান্ডারসহ খালেক ভাইকে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ৬ ওয়ার্ড মেম্বার মোস্তফা ঘটনার সততা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, মামলা নেওয়া হয়েছে এবং আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।