বিল্লাল হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ)।। ময়মনসিংহের ভালুকায় খিরু নদীর তীরে গড়ে উঠা শেফার্ড ও গ্লোরী জিটিএলসহ অর্ধ শতাধিক ডায়িং কারখানার বেশিরভাগেই নেই বর্জ্য শোধনাগার। এসব শিল্প-কারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে খিরু নদীসহ খাল-বিলে। এতে পানি বিষাক্ত হয়ে কৃষি ও জীব বৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

ময়মনসিংহের শিল্পাঞ্চলখ্যাত ভালুকায় এসব ডায়িংসহ দুই শতাধিক শিল্প-কারখানা রয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগেই নেই বর্জ্য শোধনাগার। আর যেসব কারখানায় বর্জ্য শোধনাগার আছে, সেগুলোও ঠিকমতো ব্যবহার করা হচ্ছেনা। ফলে দূষিত বর্জ্য ও রাসায়নিক মিশ্রিত পানি ফেলা হচ্ছে নদী-নালা ও খাল-বিলে।

শিল্প-কারখানার বর্জ্যে ভালুকার প্রধান নদী খিরুসহ প্রায় সবগুলো নালা ও খাল-বিলের পানি বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। নদীর দূষিত পানিতে বিলীন হয়ে গেছে মাছ। ক্ষতি হচ্ছে ফসলি জমির।

তাছাড়া নদীর পাশ দিয়ে গেলেই রাসায়নিক পদার্থের তীব্র কটু গন্ধ নাকে লাগবে যে কারও। শিল্প-কারখানার বর্জ্য পড়তে পড়তে নদীর পানি একদম পচে গেছে। বহুদূর পর্যন্ত পানির এ দুর্গন্ধ গিয়ে নাকে লাগে।

ভালুকায় অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা এসব কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসি।