নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনাজপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে আগত লাখ লাখ মুসল্লি এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

নামাজে অংশ নেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদসহ ছয় লাখের বেশি মুসল্লি।

নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত দেশের অন্যতম বৃহৎ এ ঈদগাহে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হয় ঈদুল ফিতরের জামাত। এতে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা।

জানা গেছে, পুরো ঈদগাহ ময়দানজুড়ে নেওয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করেন। মোট ১৭টি গেট মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শুধু জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। ২৬টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হয়। তথ্য বিভাগসহ বেসরকারিভাবে ১১০টি মাইক বসানো হয়। এছাড়া মুসল্লিদের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও ছিল।

জামাতের ইমাম মাওলানা সামশুল হক কাশেমী জানান, এ পর্যন্ত ২৭টি ঈদের জামাতে ইমামতি করেছেন তিনি। আজ তার ২৮তম জামাত। তিনি গোরে শহীদ বড় ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাতে ২০১৭ সাল থেকে ইমামতি করে আসছেন।

তিনি বলেন, বিশাল এই জামাতে নামাজ আদায় করার মধ্যে মানসিক প্রশান্তিসহ ধর্মীয় ফজিলত রয়েছে। মোনাজাতে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।’

নামাজ শেষে আয়োজক কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ ও পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় হওয়ায় আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

জাতীয় সংসদ এর হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, ‘নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত গোরে শহীদ বড় ময়দানে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মিনারের ঈদুল ফিতরের বিশাল জামাতে লাখো মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন।’

২০১৭ সালে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে নির্মিত হয় দেশের বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন ৫২ গম্বুজের বিশাল ঈদগাহ মিনার। ২২ একর আয়তনের এই ময়দানে একসঙ্গে পাঁ লাশের বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।