স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য সচিব সবুজ হোসেন খানকে ধরে এনে কোনো কারণ ছাড়াই লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন পুলিশের এসআই মোহাম্মদ ফজুলল হক।

সোমবার দুপুরে শার্শা থানার ভেতরই তাকে মারধর করা হয় বলে স্বজনদের অভিযোগ। তবে ছাত্রদল নেতা সবুজ হোসেন খানকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা। অপরদিকে শার্শা থানা পুলিশের ওসি শেখ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেছেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই এসআই মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বজনেরা জানান, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আনিছ দারোগাসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য উপজেলার মাটিপুকুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ছাত্রদল নেতা সবুজ হোসেন খানকে ধরে নিয়ে যান। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে থানার ভেতরে সবুজ হোসেন খানকে দেখতে পেয়ে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসেন ফজলু দারোগা। এ সময় তিনি ‘সবুজ এখনো বসে আছে’ এই বলে কোনো কারণ ছাড়াই লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন।

নির্যাতিত শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সবুজ হোসেন খান জানান, রোববার রাতে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। থানার ভেতর কথা বলার সময় ওসি তার সাথে পজিটিভ আচরণ করেছেন। পরদিন সোমবার সকালেও কেউ তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি। কিন্তু দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ ফজলু দারোগা এসে কোনো কারণ ছাড়াই লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন।

সোমবার বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এসআই মোহাম্মদ ফজলুল হক তার বিরুদ্ধে আনা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি কী কারণে তাকে মারধর করব। আমি তো তাকে মারধর করিনি।

শার্শা থানা পুলিশের ওসি শেখ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, মারধরের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্য এসআই মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে পুলিশ জানায়, সবুজ হোসেন খানকে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দায়ের করা নাশকতার একটি পেন্ডিং মামলায় আটক দেখিয়ে সোমবার দুপুরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই মামলার বাদি এসআই মোহাম্মদ ফজলুল হক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিদ্ধার্থ মন্ডল জানান, সবুজ হোসেন খানকে মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।