সনতচক্রবর্ত্তী : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টিকারীদের বরদাস্ত করা হবে না। এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষের উপর কোন জুলুমবাজী চলবে না। সকলেই আমরা প্রতিপালকের সন্তুষ্টির জন্য আমরা যার যার ধর্ম বিশ্বাস থেকে তাকে স্মরণ করি। সব ধর্মের সেরা ধর্ম হলো মানবধর্ম। দেশের স্বাধীনতা দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল মানুষের জন্য শান্তির জনপদ গড়েছিলেন।

আজ বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ‘কয়রা কালিবাড়ী মন্দির’ চত্বরে ২৪ প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন লীলা কীর্তনের শেষ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আব্দুর রহমান এসব কথা বলেন।

আব্দুর রহমান বলেন, সবার উচিত প্রভুদয়াময়ের শ্রেষ্ঠ যে জীব সেই জীবের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। মহাপ্রভু সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের জন্য আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘মন্দিরে যখন উলুধ্বনি হয় তখন হিন্দু ভাইয়েরা মন্দিরে ছুটে যান। আবার যখন মসজিদ থেকে প্রাণের আলো ছড়ানো সুরধ্বনি আযানের ধ্বনি শোনা যায় তখন আমরা ছুটে যাই মসজিদে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্য।’

নামযজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন অনুষ্ঠানে মন্দির কমিটির সভাপতি সুবাস সাহার সভাপতিত্বে এবং মিন্টু দাসের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন, বোয়ালমারী পৌর মেয়র সেলিম রেজা লিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মৃধা মিলন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কামরুল শিকদার সাধারণ সম্পাদক বাকের ইদ্রিস, সাতৈর ইউপি চেয়ারম্যান রাফিউল আলম মিন্টু ও কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২২ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয় হতে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর ভোগরাগ, আরতি কীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গঙ্গাস্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে। গঙ্গাস্নানে দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার পুর্নার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি শ্রী মদ্ভাগবত পাঠের মধ্য দিয়ে মহানাম যজ্ঞের শুরু হয়