সনতচক্রবর্ত্তী : পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ১২১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরে শুরু হয়েছে ১৯ দিনব্যাপী জসীম পল্লী মেলা।

জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম।
পল্লীকবি জসীমউদদীনের বাড়ি-সংলগ্ন কুমার নদের পাড়ে ১৯ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে জসীম উদ্যানে স্থাপিত জসীম মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং পল্লীকবির জামাতা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জসীম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. কামরুল আহসান তালুকদার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লাসহ কবি পুত্র ড. জামাল আনোয়ার, খুরশিদ আনোয়ার ও কবি কন্যা আসমা জসীমউদ্দিন তৌফিকেরও।

মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন স্টলে লোকজ বিভিন্ন চারু ও কারুপণ্যের বিপণনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন বিকেলে মেলার মাঠ প্রাঙ্গণে জসীম মঞ্চে গান, নাচ, নাটকসহ বিভিন্ন লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। এতে ফরিদপুরের এবং জেলার বাইরের সাংস্কৃতিক দলগুলো অংশ নেবে। এছাড়াও মেলায় থাকছে হস্ত, মৃৎ, বাঁশ ও বেত শিল্পসহ গ্রামীণ মানুষের ব্যবহৃত নিত্যদিনের জিনিসপত্রও। শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য থাকছে সার্কাস, নাগরদোলাসহ বিভিন্ন রকমের রাইডস।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে জসীম মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ওই বছর ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ১ জানুয়ারি পল্লীকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার ব্যাপ্তিকাল প্রথমে তিন দিন ছিল। পরে ৭, ১৫ ও এক মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন হয়েছে। ১৯৯১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলে মেলার গুরুত্ব বেড়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশন এ মেলা আয়োজন শুরু করে।