পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখর সিকদার হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব।

নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম সরোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাদী হয়ে ওই রাতে ১৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে থানা পুলিশ ও বাকি ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

৩১ জানুয়ারি, বুধবার ভোরে র‌্যাব-৮ এর একটি দল বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। র‌্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার (৪৪), তার সহযোগী একই এলাকার সমীরন হালদারের ছেলে সুষময় হালদার (১৮), ফারুক হোসেনের পুত্র জালিস মাহমুদ (২৪), উপজেলার সংগীতকাঠি গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র আমিনুল ইসলাম (২৩)।

এছাড়া এ ঘটনায় নেছারাবাদ থানা পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেন। তারা হলেন উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের স্বাধীন হালদার (৩০) , শংকর কুমার (৪৫), বাবুল (৫৫) ও তাপস (৫০)। তারা সবাই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের সহযোগী।

জানা গেছে, এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে নিহতের স্ত্রী মালা মণ্ডল বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত শেখর সিকদার জেলার স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার নেছারাবাদ উপজেলার কুড়িয়ানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভিকটিম শেখর কুমার শিকদার স্থানীয় ৪২নং কুড়িয়ানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে যোগদানের জন্য নিজ বাড়ি থেকে রওনা করেন। ভিকটিম কুড়িয়ানা বাজারের পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছানো মাত্রই পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন আসামি ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে পথরোধ করে লাঠি, ইট দিয়ে এলোপাথারি মারধর করতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে ভিকটিম নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে থাকলে আসামিরা মৃত মনে করে চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রথমে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। তাকে সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।