ডুমুরিয়ায় কৃষিকে বদলে দিচ্ছে ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তি
- আপডেট: ০৮:৪৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
- / ১৭৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে খুলনা অঞ্চলের কৃষি ও কৃষিজীবী মানুষের জীবনযাত্রায় নানামুখী সংকট দেখা দিলেও সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন দিশা দেখাচ্ছে “ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প”।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, দুর্বল পোল্ডার ব্যবস্থাপনা ও শ্রমিক সংকটের কারণে পতিত হয়ে থাকা জমিগুলোকে আবাদে ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখছে প্রকল্পটি।
২০২১ সালে ৪৯.৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদিত এ প্রকল্প খুলনা বিভাগের ৪ জেলা এবং ২৮টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর আওতায় রিলে ফসল, মিশ্র ফসল, পলি-মালচ, সর্জন ও ডিপ সেচ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা পতিত জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন, এতে কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষ পানি ব্যবস্থাপনা, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, যান্ত্রিকীকরণ, অভিযোজনযোগ্য ফসল উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অনেক এলাকায় মিনি পুকুর ও বরো পিট খনন করে এক ফসলি জমিকে দুই ফসলিতে রূপান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া, সূর্যমুখী এক্সপেলার মেশিন এবং কোকোনাট ক্লাইম্বার সরবরাহের মাধ্যমে সূর্যমুখী ও নারিকেল উৎপাদন সহজ ও লাভজনক হয়েছে।
ঘেরের পাড়ে উচ্চমূল্যের ফসল, গ্রীষ্মকালীন সীম, টমেটো, অফ সিজন তরমুজ এবং সূর্যমুখী চাষ সম্প্রসারণসহ অভ্যন্তরীণ সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং স্বল্প পানির ফসল আবাদে কৃষকরা নতুন উদ্দীপনা পেয়েছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, বাণিজ্যিক কৃষিতে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য ও ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তি এখন সময়ের দাবি। প্রকল্পের সহায়তায় অনেক কৃষক টেকসই, আধুনিক এবং লাভজনক বাণিজ্যিক কৃষিতে নিজেদের স্থাপন করতে পেরেছেন। এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় খুলনা অঞ্চলের কৃষকদের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বছরের পর বছর পতিত থাকা জমি এখন উৎপাদনের আওতায় আসছে। এর মাধ্যমে শুধু কৃষি নয়, উপকূলীয় এলাকার সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথ আরও গতিশীল হচ্ছে।












