রাসেল আহমেদ,খুলনা জেলা প্রতিনিধি:পূর্ব বিরোধের জেরে হামলা-লুট,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ও ভাঙচুর আতঙ্কে এলাকাছাড়া সাধারণ মানুষও।

ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পরপরই অস্থিরতা তৈরিতে মাঠে নেমেছে খুলনার সুবিধাবাদী গোষ্ঠী। মাঠ প্রশাসন না থাকায় বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘরে হামলা, ডাকাতি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়াসহ লুটপাট করার খবর পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে ওই গোষ্ঠী। এতে করে এলাকায় এলাকায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আগে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও টার্গেট হামলা ঠেকাতে কাজ করছে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলো। দিনে-রাতে উভয় সময়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নিরাপত্তা দিলেও আতঙ্ক কমছে না।

এদিকে ছাত্র জনতার সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মাঠ প্রশাসনে। সহাবস্থান নিশ্চিতে জেলা ও উপজেলায় বিশিষ্টজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র প্রতিনিধির সাথে বৈঠক করেছে। প্রবল ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরার পরপরই খুলনার বিভিন্ন এলাকায় সড়কে সাধারণ মানুষ নেমে এসে উল্লাস করতে থাকে। এই সময়ে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা যেমন ভাঙচুর করা হয়, তেমনি বিভিন্ন এলাকায় টার্গেট ব্যক্তিদের ওপর হামলা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা, বাড়িঘরে লুটপাট শুরু করে একশ্রেণির সুবিধাভোগী। দোকান দখল, জমি দখল, ঘাট ও বাজার দখলের মতো ঘটনা ঘটতে শুরু করে।

খুলনা শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা এ সব তথ্য জানা গেছে। শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই নয় হামলা, মারধরের ভয়ে অনেক সাধারণ মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বেশ কয়েকজন সরকারি চাকরিজীবী ও পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ছাত্র-জনতার ভয় ছাড়াও এলাকার কিছু বিরোধীয় মানুষের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা আওয়ামী লীগের আমলে সেই দলের ছিল। সরকার পতনের সাথে সাথে বিএনপির লোক হয়ে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভয় দেখাচ্ছে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, লুটপাট ও ডাকাতি ঠেকাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া টিম নিয়ে আমরা রাতে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করি।