০৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সাজা এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ডা. জুবাইদা রহমানের দায়ের করা আপিলের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত বলেছে, আইন অনুযায়ী জুবাইদা রহমানকে নোটিস না দিয়েই এ মামলা দায়ের করেছিল দুদক, যা ‘আইনসম্মত হয়নি’। একই সঙ্গে অভিযোগ দায়ের থেকে এ মামলার পুরো প্রক্রিয়াকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’। সে কারণে আপিল না করলেও তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল করে তাকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।

জুবাইদার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

এ রায়ের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পেলেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এর আগে এই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ১৪ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ডা. জুবাইদা রহমানকে জামিন দেন। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতে থাকা এই মামলার নথি তলবের পাশাপাশি জুবাইদা রহমানের অর্থদণ্ড স্থগিত করেন।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট এই মামলায় রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এই মামলায় জুবাইদা রহমানের কারাদণ্ড ১ বছরের জন্য স্থগিত করে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৫:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
৪৮

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা

আপডেট: ০৫:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সাজা এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ডা. জুবাইদা রহমানের দায়ের করা আপিলের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত বলেছে, আইন অনুযায়ী জুবাইদা রহমানকে নোটিস না দিয়েই এ মামলা দায়ের করেছিল দুদক, যা ‘আইনসম্মত হয়নি’। একই সঙ্গে অভিযোগ দায়ের থেকে এ মামলার পুরো প্রক্রিয়াকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’। সে কারণে আপিল না করলেও তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল করে তাকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।

জুবাইদার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

এ রায়ের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পেলেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এর আগে এই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ১৪ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ডা. জুবাইদা রহমানকে জামিন দেন। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতে থাকা এই মামলার নথি তলবের পাশাপাশি জুবাইদা রহমানের অর্থদণ্ড স্থগিত করেন।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট এই মামলায় রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এই মামলায় জুবাইদা রহমানের কারাদণ্ড ১ বছরের জন্য স্থগিত করে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।