কক্সবাজার প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর প্রভাবে লণ্ডভণ্ড কক্সবাজার। কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে পুরো শহর।

এদিকে এর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে কক্সবাজারের পাহাড়তলী, মহেশখালী ও চকরিয়ায় ৩ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। পাহাড়তলীতে দেয়াল চাপায় এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। মহেশখালীতে গাছ চাপায় একজন মারা যান। এছাড়া চকরিয়ার বদরখালিতে একইভাবে আরেকজনের মৃত্যু হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

ঝড়ের কারণে অনেকে জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে কক্সবাজার শহরে বিদ্যুৎ নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাছপালা ভেঙে পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ বিভিন্ন সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে পুরো শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এদিন সকাল থেকেই কক্সবাজারে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে শুরু হয় তীব্র বাতাস। এতে গাছপালা ভেঙে পড়তে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারে গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় বিঘ্ন হচ্ছে টেলিযোগাযোগসেবাও। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট।

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর কারণে কক্সবাজারে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সর্তকর্তা জারি করে করা হয়েছে মাইকিং।

ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা দুর্বল হয়ে ইতোমধ্যে এর মূল অংশ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছে। এটি আরও দুর্বল হয়ে আগামী ৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপূর্ব দিকে দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে ভোরে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে।