ময়মনসিংহ (ভালুকা) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার নিঝুরী গ্রামে ২০টি পরিবারকে বন্দোবস্ত কৃষি খাস জমি ভূমিহীদের নামে দিলেও ওই জমি একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে অবাধেই বেচা কিনা করার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের নিঝুরী (১৯৮৬ সালে) তৎকালীন সরকার ভূমিহীনদের বাসস্থানের জন্য ২০টি পরিবারকে বরাদী মৌজায় ১ং খতিয়ানভুক্ত ১১, একর ২০শতাংশ কৃষি খাস জমি বরাদ্দ দিয়ে নিঝুরী বনরুপা আর্দশ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করে এবং প্রত্যেকটি পরিবারকে টিনসেট একটি ঘরসহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ওই বনরুপা আর্দশ গ্রামের জমি অবাধে বেচা কিনা শুরু হয়। এ ভাবেই অনেক ভূমিহীন পরিবার সরকারের দেওয়া জমিটুকু বিক্রয় করে দিয়ে আবারও ভূমিহীনে পরিনত। সম্প্রতি মানিকগঞ্জ জেলার খোশেদ আলম নামে এক ব্যক্তি আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে সাড়ে তিন শতাংশ জমি ক্রয় করে।

স্থানীয় দালালরা হলেন, ওই গ্রামের মানিক মিয়া, পাইতা উজ্জল মিয়া, দলিল লেখক বরাইদ গ্রামের মাহফুজ রহমান, নিঝুরী ৬ নং ওয়ার্ডের মহনসহ সংগঠিত এই চক্রটি ওই গ্রামের প্রায় ১৮ টি পরিবারেরই জমি বিক্রয় করে দিয়ে দালালি নিয়ে হাতে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাদের মাধ্যমেই এসব জমিগুলো বিক্রয় হয়।

উক্ত বন্দোবস্তকৃত কৃষি খাস জমিতে বিভিন্ন উপজেলার লোকজন ক্রয় করিয়া গড়ে তুলছে বাসাবাড়ি। এযাবৎ ৩০/৩৫ জন ব্যক্তি ভূমিহীন পরিবারের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে দখলে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই ভূমিহীন পরিবার গুলো জমি বিক্রয় করে পথে বসার উপক্রম হচ্ছে।

সুশীল সমাজের ধারণা এসব চক্রের বিরুদ্ধে আইনুক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ আদর্শ গ্রামের সমস্ত জমি বিভিন্ন প্রভাবশালী দখলে চলে যাবে। এমনকি ভূমিহীন পরিবাররা আবারও ভূমিহীনে পরিণত হবে।

খোশেদ আলম জানান, আব্দুল মান্নানের কাছে ৮০ হাজার টাকা দামে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি।

মেদুয়ারী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকতা জানান, সত্যতা আছে আমি বাধা দিয়ে আসছি এবং ওই জমি বিক্রয়ের দলিল উদ্ধার করেছি।