প্রশান্ত ঘোষ ॥ কেশবপুরে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী।

গত বুধবার বেলা ১১টা থেকে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার শামীম আজাদের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেছেন ওই তরুণী। স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন ওই তরুণী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তরুণী সেখানেই অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। শামীম আজাদ সুফলাকাটি ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার জাকাত আলী মোড়লের ছেলে। তরুণীর আসার খবরে ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

অনশনকারী ওই তরুণী বলেন, ‘দুই বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শামীম আজাদের সাথে আমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে আমার সঙ্গে শামীমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন স্থানে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যান শামীম। চলতি বছরের ৬ আগস্ট বেড়াতে গিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার একটি বাড়িতে ৩ লাখ টাকা কাবিনে আমাদের বিয়ে হয়।’

তরুণীর দুলাভাই হুমায়ন কবির বলেন, ওরা দুজনে প্রায়ই মেয়েটির খালাবাড়ি যাতায়াত করতো। খালা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। পরবর্তীতে ছেলে ও মেয়ের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের দিন নারায়ণপুর ওয়ার্ডের মেম্বর আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারি, এস এম মহব্বত হোসেন, তৈয়েবসহ স্থানীয় গণ্যমান্যব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে বিয়ের সাক্ষী ছিলেন। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে আনতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে মেয়েটি ছেলের বাড়িতে এসেছে। মেয়েটি আসার পর ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে।

তবে ছেলের বাবা জাকাত আলী মোড়ল মোবাইল ফোনে জানান, বিয়ে হয়েছিল পরবর্তীতে ওই মেয়েটিকে খোলা তালাক করা হয়েছে। কেশবপর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মেয়েটি ওই বাড়িতে আছে।