খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, ঝিনাইদহ | তারিখঃ অক্টোবর ৯, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2634 বার
আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলায় বিএনপির প্রায় ১৯ হাজার নেতাকর্মী মামলায় ঝুলছে। বছরের পর বছর ধরে মামলা চালাতে গিয়ে অনেক নেতাকর্মী নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বিএনপির এমন প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী গায়েবীসহ বিভিন্ন মামলায় পড়ে পথে বসেছেন। তারা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে রিক্সা, সিএনজি ও ইজিবাইক চালিয়া জীবিকা নির্বাহ করছেন।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে পাঠানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঝিনাইদহ ৬ উপজেলায় ২২০টি মামলায় ১৮ হাজার ৬৭২ জন আসামী হয়েছেন। এরমধ্যে ঝিনাইদহ সদর থানায় ৩৭টি, হরিণাকুন্ডু থানায় ৩২টি, শৈলকুপায় ৩৫টি, কালীগঞ্জে ৩৭টি, কোটচাঁদপুরে ৩৫ ও মহেশপুর উপজেলায় ৪৪টি মামলা হয়েছে, যার অধিকাংশ বাদী পুলিশ। এই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর মাস চলে যায় মামলার হাজিরা দিতে দিতে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টুর নামে সর্বাধীক ৪০টি মামলা রয়েছে। এর পরই আছেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদের নাম। মাসের প্রায় প্রতিদিন তাদের হাজিরা থাকে আদালতে। ফলে ব্যাবসা বানিজ্য, দৈনন্দিন কাজকর্ম ও চাকরী করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ দাবী করেন, ২০০১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ৩৯জন নেতাকর্মী নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। এরমধ্যে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও আছেন ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের বিএনপির দক্ষ সংগঠক। এছাড়া হামলায় পঙ্গুত্ববরণ করেছেন দুই’শর বেশি নেতাকর্মী। বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর, পুলিশের ঘুষ ও চাঁদাবাজীর কারণে অনেক উপজেলায় বিএনপির তৃণমুলের কর্মীরা নিঃস্ব হয়ে গেছে। এসব নেতাকর্মীদের দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় আর্থিক সহায়তা ও হামলায় আহতদের সুচিকৎসা করা হচ্ছে। বিএনপি নেতা মজিদ দাবী করেন, বিএনপির প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী গায়েবী মামলার আসামী হয়ে এখন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। অনেকে চাকরী হারিয়েছেন। কারো ব্যবসা বানিজ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এসব নেতাদের অনেকেই া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এম এ মজিদ বলেন, সরকারের দমনপীড়ন, হত্যা, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা সত্বেও বিএনপি নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে পড়েনি। তারা এই অবৈধ সরকারকে হঠাতে ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত হয়ে রাজপথে আছেন। এ কারণে সম্প্রতিক আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে তৃণমুলের কর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।