খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ আগস্ট ২৪, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2769 বার
নওয়াপাড়া অফিস, যশোর: যশোর সদর ও অভয়নগর উপজেলা সিমান্তবর্তি গাইদগাছি এলাকায় ডাকাত সন্দেহে মাসুদ রানা (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আরও পাঁচ যুবককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের বনগ্রামের কাটাখালী এলাকা থেকে মরদেহ ও আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে অভয়নগর থানা পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের দাবি মাসুদ রানাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ডাকাতির নাটক সাজানো হয়েছে।
নিহত মাসৃুদ রানা যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন, গাইদগাছী গ্রামের ইসমাইল আলীর ছেলে জুলফিক্কার আলী (৩০), মণিরামপুর উপজেলার সুবলকাটি গ্রামের মনসুর আলী বিশ্বাসের ছেলে ইসরাফিল হোসেন (১৯), একই উপজেলার করেরাইল গ্রামের শামীম মোল্যার ছেলে সজিব মোল্যা (১৯), আলমগীল হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (১৯) ও বারপাড়া গ্রামের বাবুল গাজীর ছেলে মঈন উদ্দিন (১৯)।
প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন জানান, ডাকাত সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এমন সংবাদ পেলেও নিরাপত্তার অভাবে রাতে সেখানে যেতে পারিনি। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরে পুলিশ এসে মরদেহ ও আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহতের ছোট ভাই ইমরান হোসেন রানা বলেন, ‘ আমার ভাই কাঠ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। ঘটনার দিন রাতে সে সদর উপজেল গাইদগাছি জুলফিক্কারের বাড়িতে পাচ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। মধ্যরাতে অজ্ঞাতনামা কয়েক যুবক দেশীয় অস্ত্র সহকারে জুলফিক্কারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আমার ভাইকেসহ ঘরের মধ্যে থাকা সকলকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে এবং ডাকাত ডাকাত চিৎকার করে পেটাতে শুরু করে। পরে তারা গুরুতর আহত অবস্থায় ছয়জনকে অভয়নগরের বনগ্রাম কাটাখালি মোড়ে এনে ফেলে রাখে। ওরা আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নাটক সাজিয়েছে।’ এ হত্যাকাণ্ডের সুবিচার দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, অভয়নগর ও যশোর সদর উপজেলার সীমান্তে মারপিট ও হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ৬ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুদ রানা নামে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত অপর পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।