সাব্বির হোসেন : বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই আশংকাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ সময় খানিকটা সচেতনতাই পারে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখতে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়গুলো জেনে নিন।

এডিস মশা জমে থাকা পানিতে বংশ বিস্তার করে। বিশেষ করে স্বচ্ছ পানি এই মশার ডিম পাড়ার উপযুক্ত স্থান। অনেক সময় ঘরের বাইরে পড়ে থাকে ডাবের খোল বা আইসক্রিমের ছোট কাপ। এগুলোতে পানি জমে থাকলে সেখানে বংশ বৃদ্ধি করতে পারে এডিস মশা। এছাড়া টবে জমে থাকা পানি, বাড়ির আঙিনায় থাকা অপ্রয়োজনীয় গর্ত, ডোবা, এসির জমে থাকা পানি, ফ্রিজের জমে থাকা পানিতেও মশা বিস্তার লাভ করতে পারে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কিছু বিষয় মেনে চলুন-

পানিতে গাছ লাগান অনেকে। সেক্ষেত্রে দুই থেকে তিন দিন পর পর অবশ্যই পানি বদলে দেবেন।

টবের ভাঙা অংশ বা টবে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

অ্যাকুয়ারিয়াম বা চৌবাচ্চা থাকলে তিন দিনে একবার পানি বদলে দিতে হবে।

ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। ময়লা আবর্জনা যেন জমে না থাকে।

ফ্রিজের পানির ট্রে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এসির পানি যেন জমে না থাকে কোথাও।

চিপসের প্যাকেট বা পানির বোতল যত্রতত্র ফেলবেন না। এগুলোতে পানি জমে মশা বাড়তে পারে।

হঠাৎ বৃষ্টিতে পানি জমতে পারে এমন কিছু যেন বাড়ির আশেপাশে বা বারান্দায় না থাকে।

ঘরে যেন পর্যাপ্ত সূর্যের আলো প্রবেশ করে সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি।

অব্যবহৃত বাথরুমের কমোডও এডিস মশার লার্ভা উৎপাদনের জায়গা হতে পারে। তাই দুই বা তিন দিন পর পর ফ্ল্যাশ করে দিন কমোড। বাথরুমের বালতি, মগ বা বদনাতেও পানি জমিয়ে রাখবেন না।

এডিস মশা সক্রিয় হয়ে ওঠে ভোরের আলো ফোটার সময় এবং দিনের শেষাংশে। এই দুই সময় তাই অবশ্যই জানালা দরজা বন্ধ রাখতে হবে।

দিনে ও রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন।
মশা নিরোধক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন প্রয়োজনে।
বাড়ির আনাচে কানাচে মশার স্প্রে ছিটান।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ঘরে থাকলে সবসময় তাকে মশারির মধ্যে রাখুন।

জ্বর আসলে দেরি না করে অথবা নিজ থেকে অ্যান্টি-বায়োটিক না সেবন না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন দ্রুত।