নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ সরকারের কিছু দলীয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারীরা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসুচিতে পরিকল্পিতভাবে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের চেতনাধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নারকীয় পৈশাচিকতা চালিয়েছে। সরকার প্রধানের বিভৎস্য রূপ জাতি আজ দেখেছে। যা নজিরবিহীন ঘটনা। শেখ হাসিনার ঐতিহ্যে গণতন্ত্র নেই। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করেছে।

মঙ্গলবার পৃলিশের গুলিতে বগুড়া জেলা বিএনপির আহত নেতা-কর্মীদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে জেলা দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও গুলি করে আজ লক্ষ্মীপুরে কৃষক দলের কর্মী সজিবকে হত্যা করেছে। এ সময় শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের গুলিতে সারাদেশে আহত হয়েছেন বিএনপির ২ হাজার নেতাকর্মী। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি।

রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন চলছে যতই রক্ত ঝরাক সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

রিজভী বলেন, বগুড়াতে পুলিশ গুলি চালিয়ে দেড় শতাধিত নেতা-কর্মীকে আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেলে য়াকুরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়াও ফেনী, খাগড়া ছড়ি. কিশোরগঞ্জে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও হামলা চালায়।

সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও মেয়র রেজাউল করিম বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদারসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।