এসএম স্বপন: বেনাপোল পৌরসভায় ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর প্রথম ধাপের ওই নির্বাচনে ৩নং আসনের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের গাজীপুর, ছোটআঁচড়া ও বড়আঁচড়া থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে প্রথম মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন কামরুন্নাহার আন্না।

গতকাল, ১৭ জুলাই সোমবার দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে ওয়ার্ডবাসীদের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে আবারও সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পূণরায় মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন সাবেক মহিলা কাউন্সিলর কামরুন্নাহার আন্না।

এবারের পৌর নির্বাচনে গাজীপুর, ছোটআঁচড়া ও বড়আঁচড়া ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৮২২৪ জন। তারমধ্যে কাস্ট হয়েছে ৫৫৩৪ ভোট।

কামরুন্নাহার আন্না (চশমা) মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৩১১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা আক্তার (জবাফুল) মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ১৪২১ ভোট ও রিজিয়া খাতুন পেয়েছেন ৯৭১ ভোট। সেলিনা আক্তারের চেয়ে কামরুন্নাহার আন্নার ভোট ব্যবধান ১৬৯৩ ভোট।

৭ নং গাজীপুর ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৬৭৮ জন। কাস্ট হয়েছে ১৬৮৬ ভোট। তারমধ্যে নষ্ট ভোটের সংখ্যা ০৭ ভোট। কামরুন্নাহার আন্না পেয়েছেন ১১৩৫ ভোট, সেলিনা আক্তার পেয়েছেন ৮৯ ভোট ও রিজিয়া খাতুন পেয়েছেন ৪৫৫ ভোট।

৮ নং ছোটআঁচড়া ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৭১৪ জন। কাস্ট হয়েছে ১৭৫৪ ভোট। তারমধ্যে নষ্ট ভোটের সংখ্যা ০৩ ভোট। কামরুন্নাহার আন্না পেয়েছেন ১৪৬৭ ভোট, সেলিনা আক্তার পেয়েছেন ১১৪ ভোট ও রিজিয়া খাতুন পেয়েছেন ১৬৪ ভোট।

৯ নং বড়আঁচড়া ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮৩২ জন। কাস্ট হয়েছে ২০৯৪ ভোট। তারমধ্যে নষ্ট ভোটের সংখ্যা ০৭ ভোট। কামরুন্নাহার আন্না পেয়েছেন ৫১২ ভোট, সেলিনা আক্তার পেয়েছেন ১২১৮ ভোট ও রিজিয়া খাতুন পেয়েছেন ৩৫২ ভোট।

গাজীপুর ওয়ার্ডের ভ্যানচালক রিপন বলেন, আন্না আপার কাছে যখন যেকাজ নিয়ে গিয়েছি, কখনও তিনি আমাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। তার কাছে রাত দিন নেই। তিনি আমাদের সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন।

ছোটআঁচড়া ওয়ার্ডের মুদি দোকানদার ইদ্রিস আলী বলেন, আন্না আপা অত্যন্ত ভালো মনের একজন মানুষ। তার ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ। বিপদেআপদে তিনি সকলের পাশে থাকেন। আমাদের দোয়া সর্বদা তার জন্য রয়েছে।

পরপর দুই নির্বাচনেই সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, এবিষয়ে জানতে চাইলে আন্না বলেন, সর্ব সাধারনের ভালবাসা প্রথম ধাপের পৌর নির্বাচনের মতো, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও ছিল। প্রথম ধাপের পৌর নির্বাচনে ভোটারদের কাছে অঙ্গীকার করেছিলাম, জয়ী হলে তাদের বিপদেআপদে পাশে থাকবো। তাদের যেকোন সমস্যার সমাধান করবো। প্রতিশ্রুতি রেখেছি। তাদের বিপদের সময় মুখ ফিরিয়ে নেইনি। রাতদিনের ভেদাভেদ করিনি, ছুটে গিয়েছি। তাই সেই ওয়ার্ডবাসী আবারও তাদের ভালবাসায় আমাকে সিক্ত করেছেন। দিয়েছেন পূর্বের ভোটের মতো সর্বোচ্চ ভোট। আবারও ঋণী হয়ে গেলাম তাদের কাছে। কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ওয়ার্ডবাসীদেরকে। এবারও তাদের আগের মতো সেবা দিয়ে যাবো।

উল্লেখ্য, বেনাপোল পৌরসভার ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম পৌর নির্বাচনে কামরুন্নাহার আন্না (টিউবওয়েল) মার্কা নিয়ে ৪৬০০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন। এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শারমিন আক্তার (পদ্মফুল) মার্কা নিয়ে পেয়েছিলেন ৪২৬ ভোট।