নিজস্ব প্রতিবেদক : নেতাকর্মীদের সরব রাখতেই দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে. আজ বুধবার রাজধানীতে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। তবে অতীতের মতো বিএনপি যদি আগুন সন্ত্রাস এবং বিশৃঙ্খলা করে জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি।

সরকার পতনের এক দফ দাবি নিয়ে বুধবার চূড়ান্তভাবে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। তবে এসব আন্দোলনকে পাত্তা দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলছেন, বিএনপির উদ্দেশ্যে হলো একদফার নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। সেই সুযোগ আওয়ামী লীগ দেবে না। আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দিয়ে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত জনগণের পাশে থাকবে, মাঠে থাকবে।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, যে আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই সেই আন্দোলন ও দাবি মূল্যহীন। জনকল্যাণ ও শন্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ কখনো বাধা দেয় না। কেউ যদি দেশের শান্তি বিনষ্ট করতে চায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জবাব দেওয়া হবে। বিএনপির কোনো আন্দোলনে জনগণ ছিল না, আগামীতেও থাকবে না। তাদের এই একদফা দাবি সফল হবে না। কোনো দলের সঙ্গে পাল্টা কর্মসূচি নয়। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের মাঠে সরব রাখতেই দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তি সমাবেশ করে যাচ্ছে।

এই কর্মসূচি আরও আগে থেকেই শুরু হয়েছে। অতীতের মতো বিএনপি যেন আর আগুন সন্ত্রাস করতে না পারে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা করে জনজীবনে ভোগান্তি ঘটাতে না পারে এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি সমাবেশ করে ও ওয়ার্ড, থানায় সরব থাকবে। আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দিয়ে জনগণের পাশে থাকবে, মাঠে থাকবে। বিএনপি যদি একদফা আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের নাশকতা করে তাহলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

বুধবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে। অন্যদিকে, বিএনপির সমাবেশটি হবে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায়। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশ প্রায় একই সময়ে। মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। সরকার পতনের বিএনপির এক দফা কর্মসূচি ব্যাপারে দলের প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলে জানা গেছে।

শান্তি সমাবেশ সফল করতে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি সভা করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্তিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মাঝে মধ্যে একদফার আন্দোলন ঘোষণা করে। তাদের এই দাবি গুরুত্বহীন। তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকব, দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেব না। আমরা অতীতেও দেখেছি বিএনপি যখনই কর্মসূচি ঘোষণা করে, তখনই তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, জনজীবনে ভোগান্তি ঘটায়। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারই হলো তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেই সুযোগ আমরা দেব না। আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকব, জনগণের পাশে থাকব।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দেয় না। আমরা আরও আগে থেকেই শান্তি সমাবেশ করে যাচ্ছি। তার অংশ হিসেবে আমাদের এই কর্মসূচি। আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি থাকবে নেতাকর্মী মাঠে থাকবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সস্পাদক এমএম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার কারণে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাদের কোনো আন্দোলনও সফলতা নেই। আন্দোলনের নামে বিএনপি যে কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারে তাই জনগণের জানমাল রক্ষায় মাঠে নামবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।