নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং ধর্মীয় উষ্কানি তৈরির অভিযোগ এনে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে গ্রেপ্তার এবং জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন- এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। একইসঙ্গে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নুরুল হক নুরের গোপন আঁতাতের অভিযোগ এনে দেশকে বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যাবার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন-২০২০ এর ৫(গ) ধারা মোতাবেক ‘গণঅধিকার পরিষদ’কে নিবন্ধন না দিতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে এনডিএম।

রবিবার বিকালে রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত এনডিএম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নুরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

ববি হাজ্জাজ বলেন, গণমাধ্যম, নিজ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত মেন্দি (এন) সাফাদির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।

ববি হাজ্জাজ বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো, এত স্পর্শকাতর বিষয়ে এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম দখলদার রাষ্ট্র এবং মুসলিম উম্মাহর পরিষ্কার শত্রু ইসরায়েলের প্রতিটি আগ্রাসন এবং পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। আমরা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ পরিপন্থী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে নুরুল হক নুরকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে চিঠি প্রদান করেছি।

দলটির নিবন্ধন প্রসঙ্গে লিখিত বক্তব্যে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক ঐক্য বিনষ্ট হওয়া ছাড়াও দেশকে বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যাবার আশংকা তৈরি হতে পারে বিধায় গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন-২০২০ এর ৫(গ) ধারা মোতাবেক “গণঅধিকার পরিষদ” নামক রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন প্রদান না করতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসাবে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয়কে চিঠি প্রদান করেছি।’

এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের পবিত্র জমিনে ইহুদিদের কোনো চর বা কোনো শত্রু রাষ্ট্রের এজেন্ট রাজনীতি করতে পারবে না। নূরের অর্থের উৎস কোথায়? বিলাসবহুল মধ্যপ্রাচ্য সফরে কে বা কারা তাকে অর্থ প্রদান করেছে? এর উদ্দেশ্য যদি হয় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক তাহলে নুর এবং তার সহযোগীরা সবাই দেশের এবং মুসলমানদের শত্রু।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিএমের যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।